দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে মো. গোলাম ফারুক : দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের শহরতলা কুন্ডুপাড়ার সর্বজন পরিচিত অদম্য সাহসী কুলি পঙ্গু বাদল শেখ (৪৮) বাঁচতে চায়।
উপজেলা সদরের শহরতলা কুন্ডুপাড়ার মৃত ফুতুম শেখের ছেলে পরিশ্রমী অদম্য সাহসী বাদল শেখ (৪৮) জীবিকা নির্বাহে কুলির কাজ বেছে নিয়েছিল। পৈত্রিকভাবে কোনো জায়গাজমি না থাকলেও শহরতলা কুন্ডুপাড়ায় সরকারি সামান্য জায়গায় ঘর করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করত। উপজেলা সদরের বিভিন্ন ট্রাক থেকে বিভিন্ন মালামাল লোড, আনলোড করে স্বাচ্ছন্দ্যভাবেই জীবন যাপন করেছে। এক ছেলে এক মেয়ের জনক বাদল শেখের একটি দুর্ঘটনায় তার জীবনের সকল স্বপ্ন ভেঙে দুঃস্বপ্ন নেমে এসেছে। গত প্রায় তিন মাস পূর্বেই প্রতিদিনের মতো সকালে উপজেলার সিও অফিস বাসস্ট্যান্ডে মালবোঝাই একটি ট্রাক কে সাইড দিতে গিয়ে সড়কের ডিভাইডারের সাথে ধাক্কা খায়। এতে তার দু’টি পা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। স্থানীয় লোকজন তাকে প্রথমে দুপচাঁচিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার ডান পা কর্তন করা হয়।
বর্তমানে সে পঙ্গুত্ব বরণ করে জীবিকা নির্বাহে আবারো নেমেছে রাস্তায়। এবার সে আর কঠোর পরিশ্রম কুলির কাজে নয় বিভিন্ন জনের কাছে হাত বাড়িয়ে সাহায্য চাচ্ছে। সারাদিনে যা আয় হচ্ছে তা দিয়েই স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে নিয়ে কোনোরকমে দিন কেটে যাচ্ছে। গত ৭ ডিসেম্বর উপজেলা পরিষদ চত্বরে একান্তে আলাপকালে বাদল শেখ দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, এক সময় সে কঠোর পরিশ্রম করেছে। কিন্তু একটি দুর্ঘটনা তাকে পঙ্গুত্ব করেছে। পঙ্গু বাদলকে দেখার কেউ নেই। তার চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন এখনো ওষুধ খেতে হচ্ছে। জীবনে বাঁচার জন্য সে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সমাজের দানশীল, ধনবান ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহায়তা কামনা করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন