শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

লঘুচাপ মেঘ-বৃষ্টি কেটে আসছে শীতের হাওয়া

বিশেষ সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

তাপমাত্রা নামতে পারে সপ্তাহ শেষে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি নিম্নচাপ ও এরপর লঘুচাপ আকারে গতকাল (রোববার) সকাল থেকে দুর্বল হয়ে ক্রমেই কেটে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে কাটছে মেঘ-বৃষ্টির ঘনঘটা। আজ (সোমবার) থেকে আবহাওয়া পরিস্থিতির আরও উন্নতি হতে পারে। মেঘমুক্ত হয়ে ধীরে ধীরে পরিস্কার থাকবে আকাশ। আবহাওয়া-রাজ্যে হঠাৎ আর কোন নাটকীয় পরিবর্তন না ঘটলে ‘স্বাভাবিক’ শীতের পদধ্বনির আবহ তৈরি হতে পারে। বৈরী আবহাওয়ার উন্নতির সূচনায় গতকাল বিকেল থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শীতের অনুভূতি কিছুটা আঁচ করা যায়।
একজন আবহাওয়াবিদ জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগরের বায়ুমালার (দক্ষিণা) উল্টো চাপ থাকায় এ যাবত উত্তর-পশ্চিমের হিমেল বায়ুমালার আগমন বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। অগ্রহায়ণ মাসের শেষ দিকে এসে গত দু’তিন দিনের ‘শীত নামানো বৃষ্টি’র পর এখন থেকে সুদূর সাইবেরীয়া, হিমালয় পাদদেশসহ ‘উত্তুরে’ হিমশীতল হাওয়ার বাংলাদেশ অভিমুখে আগমন শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া ঊর্ধ্বাকাশের হিমশীতল জেটবায়ু স্থলভাগের দিকে নামতে পারে। এবার ধীরে ধীরে জেঁকে বসতে পারে শীত। অগ্রহায়ণের শেষে আর পৌষের গোড়াতে শীতের অনুভূতি ক্রমশ বাড়তে পারে- এমনটি পূর্বাভাস পাওয়া গেছে আবহাওয়া বিভাগ সূত্রে। পৌষের মাঝামাঝি দেশের বিভিন্ন জায়গায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিযায় ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ৩০.৮ ডিগ্রি সে.। এ সময় ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪ এবং ১৯.৮ ডিগ্রি সে.। গতকাল রংপুর বিভাগ ছাড়া সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়েছে। কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হয়েছে। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ভোলায় ৭৮ মিলিমিটার। ঢাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৩ মিমি। এ সপ্তাহের শেষের দিকে শীতের প্রকোপ তুলনামূলক বাড়তে পারে। গতকাল সন্ধ্যায় সর্বশেষ আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার অবস্থার আরও উন্নতি হতে পারে। এর পরবর্তী ৫ দিনে রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে পারে। স্বরূপে ফিরবে পঞ্জিকার ঋতুর ছকে ‘শীতকাল’।
সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতিতে জানা গেছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে যেতে পারে। সুস্পষ্ট লঘুচাপটির প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ রূপে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। দেশের অন্যত্র তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন