রাউজান (চট্টগ্রাম) থেকে এম বেলাল উদ্দিন : গ্রামীণ জনপদে শীত আস্তে আস্তে ঝেঁকে বসতে শুরু করেছে। এ দেশের শীতল আবহাওয়ার টানে বিভিন্ন দেশ থেকে উড়ে আসতে শুরু করেছে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি। অন্যান্য বছরের মতো এবারো হাজার হাজার মাইল অতিক্রম করে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখির ঝাঁক উড়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে রাউজানের বড় বড় পুকুর-দীঘিতে। দলবদ্ধ পাখি এখন ঠাঁই নিয়েছে এখানকার জনকোলাহলমুক্ত পরিবেশে নির্জন এলাকার পুকুর-দীঘিতে। ভিনদেশি এসব পাখির ঝাঁক দেখা যায় নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কর্তার দীঘি, কদলপুর ইউনিয়নের লস্কর উজির দীঘিসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানের বড় বড় জলাশয়ে। ভিন দেশির পাখির ঝাঁক যেই এলাকায় নেমেছে, সেই এলাকাটি এখন কলকাকলিতে ভরে উঠেছে। কিচিরমিচির শব্দ শুনে অনেকেই উঁকি মেরে দেখছেন পাখির মুক্ত বিচরণ। কৌতুহলী অনেকেই কাছ থেকে দেখতে গেলেই ঝাঁক বেঁধে উড়াল দিচ্ছে আকাশের পানে। আতঙ্কিত পাখির দল কিছুক্ষণের জন্য আকাশে উড়ে তী² দৃষ্টি রাখে নিচের দিকে। যখনই তারা নিরাপদ মনে করছে, তখনই এসে পড়ছে আশ্রয় নেয়া সেই পুকুর-জলাশয়ে।
পাখি নিয়ে কাজ করেন এমন বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের শীতের আবহাওয়ার পরশ পেতে বহু দেশ থেকে ছুটে আসে পাখির দল। এসব পাখির মধ্যে দেখা যায় শামুক ভাঙা, লালশির, পাতাড়ি হাঁস, কালো হাঁস, বালি হাঁস, মাঝলা বক, সরালী, ছোট সরালী, রাজ হাঁস, কানি বক, ধূসর বক, গো বক, সাদা বক, জলের কাদাখোঁচা পাখি, লেঞ্জা, কুন্তি হাঁসসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। সূত্র মতে, পৃথিবীতে প্রায় পাঁচ লাখ প্রজাতির পাখি রয়েছে। এসব পাখির একটি অংশ বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে দেশে দেশে ছুটে বেড়ায়। মৌসুমী ভ্রমণে বের হওয়া এসব পাখির একটি সংখ্যা আমাদের দেশে আসে শীতের মৌসুমে। ওরা আশ্রয় নেয় গ্রামীণ বিভিন্ন খাল-বিল, পুকুর-দীঘির মতো বড় বড় জলাশয়ে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন