ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা
জলবায়ুর পরিবর্তনে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ফরিদপুরের সালথায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ ছাড়াও পানিতে প্রচুর আর্সেনিক রয়েছে। সার্বিক বায়ুম-লীয় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জলবায়ুর কারণে পূর্বে এসব এলাকায় প্রচুর বন্যা, নদী ভাঙন, শিলা বৃষ্টি, কালবৈশাখী ঝড়সহ নানা ধরনের দুর্ভিক্ষ দেখা দিত। একের পর এক সমস্যা আসতেই থাকত। জমিতে পর্যাপ্ত ফসল ছিল না। ভাতের অভাব ছিল। চারদিকে শুধু ছিল হা-হা-কার। শিশু-বৃদ্ধ, আবাল-বনিতা ও অসহায় মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগের স্বীকার হতেন। অন্যদিকে তখনকার সময় নদীতে মাছ ছিল, প্রচুর গাছপালা ছিল, গাছে ফল ছিল, আর্সেনিকমুক্ত পানি ছিল এবং আকাশে বিদ্যুৎ চমকাতো না, তাই মানুষের কষ্ট কিছুটা লাঘব হতো। জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে বর্তমানে প্রচুর বন্যা, নদী ভাঙন, কালবৈশাখী ঝড়, শিলা বৃষ্টিসহ সব ধরনের দুর্ভিক্ষের হাত থেকে মানুষ রক্ষা পাচ্ছে। কিন্তু উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভূ-গর্র্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এতে কিছু কিছু নলকূপ ও ডিপ মেশিনে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। যেসব নলকূপে পানি পাওয়া যাচ্ছে, তাতে প্রচুর আর্সেনিক থাকায় মানবদেহের চরম ক্ষতি হচ্ছে। ভূগর্র্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে পড়ায় ডিপ মেশিন ও শ্যালো মেশিনে ভালোমতো পানি পাচ্ছে না। যার কারণে কৃষি জমিতে সেচ ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়াও বায়ুম-লীয় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী-নালা, খাল-বিল শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। বন-জঙ্গল, রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ির গাছপালা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। এদিকে নদীতে প্রচুর মাছ না থাকায়, মানুষ শর্করা আমিষ জাতীয় ভিটামিন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই এলাকার মানুষ সরকারের কাছে পানির সংকট নিরসন ও আর্সেনিকমুক্ত পানি পাওয়ার দাবি জানিয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মাদ বিন ইয়ামিন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। সার্বিক বায়ুম-লীয় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। অনিয়মিত বৃষ্টিপাত হওয়ায় সুদূরপ্রসারী ক্ষতি হয়েছে। যার প্রভাব কৃষির ওপর পড়ছে। অন্যদিকে পানিতে আর্সেনিক বেড়ে যাওয়ায় মানবদেহের ক্ষতি হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন