তাজ উদ্দিন, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) থেকে
লোহাগাড়া উপজেলার ৭ নং পুটিবিলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ৪ জন, ও ২০ দলের ৩ জন সম্ভাব্য প্রার্থী সরব রয়েছেন। বিভিন্নœ সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে তারা তাদের প্রার্থিতা জানান দিচ্ছেন। এ ছাড়াও ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে মাহফিলসহ ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদিতেও যাচ্ছেন নিয়মিত। পুটিবিলা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চান ৪ জন। তারা হলেনÑ পুটিবিলা ইউনিয়ন আ.লীগের ২২ বছরের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মনজুর আলম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ও মরহুম চেয়ারম্যান আবু হানিফ চৌধুরীর ছেলে ফোরাত বিন হানিফ চৌধুরী শাকিল, গত নির্বাচনে অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যাওয়া হাজী মোহাম্মদ ইউনুস ও বর্তমান চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম। আ.লীগের একটি সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমদের কার্যালয়ে কয়েকটি বৈঠকে আলোচনা হলেও চূড়ান্ত মনোনয়ন কাউতে দেয়া হয়নি। তবে বর্তমান চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম ও হাজী ইউনুস নৌকা প্রতীক না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলে ইনকিলাবকে জানিয়েছেন। দুঃসময়ের আওয়ামী লীগ নেতা মনজুর আলম বলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত থেকে দলকে ধরে আছি। অনেক চড়াই-উৎরাই গেছে আমার ওপর দিয়ে। কিন্তু আমি পার্টি ছাড়িনি। সেই হিসেবে আমার দল মনোনয়ন দিলে আমি ইলেকশন করব। অন্যদিকে, বিএনপি থেকে চেয়ারম্যান পদে লড়তে পারেন উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ও পুটিবিলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মুন্সি ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ২০ দলীয় জোট থেকে যাকে দেয়া হয় আমি তার জন্য কাজ করব। আর যদি আমাকে দেয়া হয় তাহলে আমি ২০ দলের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে নির্বাচনের মাঠে লড়াই করতে চাই। এ ছাড়া মাঠে রয়েছে সদ্য কারামুক্ত জামায়াত নেতা মাওলানা মোহাম্মদ ইছহাক ও অ্যাডভোকেট মোজাফ্ফর আহমদ। জামায়াতের শ্রমিক সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে না পারলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন জামায়াতের মনোনীত প্রার্থীরা। উল্লেখ্য, লোহাগাড়ার ৬ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৪ জুন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন