শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

চান্দিনায় শহীদদের সেই গণকবর সংরক্ষণের উদ্যোগ নেই

| প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মুন্সী কামাল আতাতুর্ক মিসেল চান্দিনা (কুমিল্লা) থেকে : ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত ৭ জন নিরপরাধ মানুষকে গুলি করে হত্যা করে পাক হানাদার বাহিনীরা। পরে তাদেরকে গণকবর দেওয়া হয়। জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে চান্দিনার উপজেলার কঙ্গাই গ্রামে মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান করছিলেন, খবর পেয়ে পাক বাহিনীর শতাধিক সৈন্য কঙ্গাই গ্রামে প্রবেশ করে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধারা এ পাক বাহিনীকে মোকাবেলা করার মতো প্রস্তুতি না থাকায় মুক্তিযোদ্ধরা পিছু হটে যায়। এ সুযোগে পাক বাহিনীরা দ্রæতগতিতে গ্রামে প্রবেশ করে নিরস্ত্র লোকদের হত্যা করে।
পরে কঙ্গাই গ্রামে ৭ জনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী ৭ শহীদের লাশ একই স্থানে গণ কবর দেওয়া হয়। গন হত্যার শিকার সেই ৭ শহীদরা হলেন, আবব্দুস সামাদ (১৫), ধনু মিয়া (২৫), বজলুর রহমান (১৫), মুসলেহ উদ্দিন (২৮), আবিদ আলী (১৫), আয়েত আলী (২০), আফসর আলী (২৬) । অথচ মুক্তিযোদ্ধের ৩৯ বছর পরও মুক্তিযোদ্ধের চান্দিনার সেই গণকবরটি আজও পড়ে আছে অযন্ত অবহেলায়। স্মৃতি রক্ষায় কোন উদ্যোগ নেই কারো। শহীদদের স্মরণে ওই স্থানে এখন পর্যন্ত স্থায়ী কোন স্মৃতিস্তম্ভ গড়ে ওঠেনি।
এখনও গণকবরটি অবহেলায় পড়ে আছে। গণকবরটিতে যাওয়ার নেই কোন রাস্তা। ময়লা আবর্জনা আর জঙ্গলে ছেয়ে গেছে গণকবরটির পুরো এলাকা। দীর্ঘদিন ধরে অযন্ত আর অবহেলায় পড়ে আছে এ গণকবরটি। এতে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে নানা ক্ষোভ। গণ কবরটি সংরক্ষণ ও এখানে একটি স্মৃতি ফলক নির্মার্ণের দাবী জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধ স্মৃতি রক্ষা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মমিনুল ইসলাম সরকার জানান, মুক্তিযোদ্ধকালে পাক বাহিনীরা নিরীহ লোকদের নির্মম ভাবে হত্যা করে। পরে কঙ্গাইয়ে গণকবর আবিস্কৃত হলেও এটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। তাই অবিলম্বে স্মৃতি রক্ষায় চান্দিনার কঙ্গাই গ্রামে সেই ৭ শহীদের নামে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবী জানান তিনি। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মালেক জানান, সরকারের তরফ থেকে দ্রæত গণকবরটিকে ঘিরে একটি স্মৃতিস্বম্ভ নির্মিত হলে নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে কিভাবে এখানে পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা লোকজনকে হত্যা করেছে। চান্দিনার মুক্তিযোদ্ধাসহ আপামর জনগণের দাবী মুক্তিযোদ্ধের সময়ে এখানে নৃশংসভাবে যাদের হত্যা করা হয়েছিল তাদের নামের তালিকাসহ একটি স্মৃতিফলক নির্মিত হোক।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন