রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

উপ সম্পাদকীয়

তারুণ্যের গতি কোন দিকে?

আফতাব চৌধুরী | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশে সমস্যার অন্ত নেই। কৃষির উন্নয়ন সম্ভব হয়নি, সমস্যা। শিল্পায়ন সম্ভব হয়নি, সমস্যা। পানি সেচের উন্নয়ন এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি, সমস্যা। যোগাযোগ ব্যবস্থা যথার্থ নয়, সমস্যা। সামাজিক নিরাপত্তা নেই, সমস্যা। রাজনৈতিক অস্থিরতা জনমানসের শান্তি কেড়ে নিচ্ছে, সমস্যা। প্রশাসনে দুর্নীতি, সমস্যা। অসাধু ব্যবসায়ীরা শিশু খাদ্যে ভেজাল দিচ্ছে, সমস্যা। শিশু ধর্ষণ হত্যা চলছে যখন তখন, নারী জাতি যত্রতত্র ধর্ষিত হচ্ছে, সমস্যা। লক্ষ লক্ষ মানুষ নিরন্ন, কাজ নেই, বেকার, সমস্যা। শিক্ষাক্ষেত্রে অরাজকতা, সমস্যা। প্রতিনিয়ত ভালবাসার মৃত্যু ঘটছে, সমস্যা। সমাজ থেকে দ্রুত মূল্যবোধ অপসৃত হচ্ছে, সমস্যা। অসম অর্থ বণ্টনে গরীব আরও গরীব হচ্ছে, ধনী আরও ধনী হচ্ছে, সমস্যা। অর্থনীতির স^াধীনতা না থাকায় রাষ্ট্রীয় সম্পদের উপর মানুষের দাবী নেই, সমস্যা।
অসংখ্য রকমের সমস্যা আমাদের দেশের মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। কেড়ে নিয়েছে জীবনের সুখ-শান্তি, আনন্দ-ভালোবাসা। প্রতিদিন পথচারী যন্ত্রদানবের চাকায় পিষ্ট হচ্ছে- মৃত্যুর ক্রন্দনের রোল আকাশ বাতাসকে পরিব্যাপ্ত করে রেখেছে। মানুষ দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করে অসহায় চোখে শূন্যের দিকে তাকিয়ে আছে-কোনও ভরসা নেই। এ ভয়ঙ্কর সমস্যার মধ্যে আরও একটি বড় সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। এ সাংঘাতিক সমস্যাটি এসেছে মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত এবং বস্তি ও শিল্পাঞ্চলের সমাজ থেকে। এ ভয়ঙ্কর সমস্যার ছাত্র-ছাত্রী কিশোর-কিশোরী যাদের বয়স চৌদ্দ থেকে কুড়ির মধ্যে।
চৌদ্দ বছরের কিশোর-কিশোরীও আজ অপরাধ জগতের চরিত্র। যাদের বয়স পনেরো, ষোল, সতেরো, আঠারো, উনিশ বা কুড়ি-তাদের অনেকেই অপরাধ জগতের নারকীয় কর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে-যার পরিণতি ভয়ঙ্কর। নিরপরাধ কিশোর-কিশোরী অজ্ঞাতসারে কামনার আকর্ষণে দেহভোগের ভিতর দিয়ে বীভৎস পাপের জগতে ডুবে যাচ্ছে-সেখান থেকে উঠে আসা সম্ভব হচ্ছে না। মধ্যবিত্তের বাবা-মার চোখ নিদ্রাহীন। চৌদ্দ থেকে কুড়ি বছরের ছেলেমেয়েরা কেন সমাজের বড় সমস্যা-সে আলোচনাই এখন করার প্রয়াস।
একটি বড় সংখ্যার কিশোর যুবক এবং কিশোরী যুবতী অপরাধ জগতের শিকার হচ্ছে। মনস্তত্ত্ব স¤মত বিশেষণ করলে আমরা দেখতে পাই যে, এ বয়সটি জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর। ঠিক এ জায়গা থেকে যাত্রা শুরু করে অন্য একটি স্তরে পৌঁছানো খুব কঠিন। অর্থাৎ চৌদ্দ-স্তর থেকে যাত্রা শুরু করে কুড়ি-স্তর অতিক্রম করে একুশের স্তরে পৌঁছানো ভীষণ, কঠিন। এটি একটি পিচ্ছিল এবং বিপদসঙ্কুল পথ। এ বয়সে যেসব লক্ষণ দেখতে পাই সেসবের মধ্যে দুটি প্রধান হচ্ছে- ১) তীব্র কৌতূহলের সঙ্গে একটি অনুসন্ধিৎসু মন, ২) কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো।
মনোবিজ্ঞান বলে থাকে, মানুষ মাত্রই কৌতূহলী। বয়স বৃদ্ধি এবং অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের সঙ্গে সঙ্গে কৌতূহলী মনকে সংযমে রাখার প্রচেষ্টা থাকে। এ সংযমী হওয়ার ইচ্ছাকে বশে রাখতে বুদ্ধির একটি বড় ভ‚মিকা আছে। কিশোর-যুবক এবং কিশোরী-যুবতীর মধ্যে সংযম শক্তির ভীষণ অভাব। এরা বুদ্ধি সংযমের লাগাম টেনে ধরে রাখতে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়। এ বয়সের মনকে বিশ্লেষণ করলে আরও অদ¢ুত ধর্মের সন্ধান মিলে। এসব অদ¢ুত ধর্ম যেমন বুদ্ধির দ্বারা পরিচালিত হয় না, আবার এসব ধর্মকে বাস্তবে রূপ দিতে বুদ্ধির সাহায্যও দরকার। তার মানে বুদ্ধির ভ‚মিকা আছে। সে বুদ্ধিকে এ বয়সের ছেলেমেয়েরা পরীক্ষামূলক কাজে ব্যয়িত করছে।
প্রাকৃতিক নিয়মেই এ বয়সের ছেলে মেয়েদের মধ্যে যৌন চেতনার উন্মেষ ঘটে। আলিঙ্গন পাওয়ার নেশায় এবং কিশোরী-দেহের গোপন অঙ্গের অনুভুতির স্বাদ হরণের তীব্রতা এদের অপরাধের দিকে ঠেলে নিয়ে যায়। আজ থেকে চল্লিশ-বিয়াল্লিশ বছর আগে, কিশোর-যুবক এবং কিশোরী-যুবতীর মধ্যে প্রেমের ভাবটা ছিল। একজন আরেকজনকে গভীরভাবে ভালবাসত।এ ভালবাসার মধ্যেও দেহগত কামনার আকর্ষণ ছিল, মূল্যবোধও ছিল। যার জন্য যৌন সংসর্গ বেশী প্রাধান্য পেত না। আমার মনে হয়, মানসিকতার বিচারে সেকাল এবং একালের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। সে সময়ে কিশোর-যুবককে উদ্দীপিত করার পরিবেশের অভাব ছিল। শিক্ষার বাতাবরণ ছিল,নিয়মের প্রাচীর ছিল, চলচ্চিত্রের আনন্দ পাওয়ার অধিকার সীমিত ছিল, টিভি, স্যাটেলাইট আবিষ্কার হয়নি। এসব ভাল প্রতিবন্ধকতা থাকায় সেকালের কিশোর-যুবক এবং কিশোর-যুবতী যৌনঘটিত অপরাধ কম করত। সামাজিক পারিপার্শ্বিক প্রতিবন্ধকতা সেকালের কিশোর-যুবক এবং কিশোরী-যুবতীদের বিপদসঙ্কুল পথ অতিক্রম করতে সাহায্য করত।
প্রাকৃতিক নিয়মের ভিতর দিয়েই ছেলে এবং মেয়ে বেড়ে উঠে। বেড়ে উঠার সঙ্গে সঙ্গে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিকাশও ঘটে। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিকাশের সঙ্গে মানসিক অনুভুতিরও প্রকাশ ঘটে। এভাবে পূর্ণতার দিকে দেহ-মন যদি এগোতে পারত এবং কোনও বাধা না পেত তবে অপরাধের জন্মই হত না, কিন্তু এরা বর্তমান সমাজে এ বয়সেই ভোগের দিকে ছুটে চলেছে। দেখা যায় বেশীরভাগ কিশোর-যুবক বেশিরভাগ সময় যৌন চিন্তায় মগ্ন থাকে। কী করে এবং কী কৌশলে কিশোরী-যুবতীকে ভোগ করা যায়-এ ভয়ঙ্কর ভাবনায় ডুবে থাকে তারা এবং সুযোগের সন্ধান করে।
এ স্বার্থপরতার জন্য একান্নবর্তী পরিবার ভেঙ্গে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক সচ্ছলতা না থাকায় জন্মনিয়ন্ত্রণ এসেছে। জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য শিক্ষিত বেশীরভাগ দম্পতির একটি বা দুটি করে সন্তান। বাবা-মা উভয়েই চাকুরি করে। ঘর ফাঁকা। ছেলে বা মেয়ে একা থাকে। এ একা থাকার সুযোগটা ছেলে-মেয়েরা গ্রহণ করে থাকে অনেক ক্ষেত্রে। এরা অসংযত, অস্থির পরায়ণ এবং তীব্র কৌতুহলী-সে জন্য অপরাধমূলক কাজ এরা মুহ‚র্তের মধ্যেই করে ফেলে। এবার প্রশ্ন, এরা কেন ভয়ঙ্কর অপরাধ করে? অথবা এ ভয়ঙ্কর অপরাধ করার উদ্দীপক কারণগুলো কি? এখন পর্যালোচনা করে দেখি এসব পবিত্র বা সোনার টুকরো ছেলে-মেয়েরা কেন এ পাপ কাজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে--কিসের হাতছানি এদের বিপথগামী করছে? যে বয়স থেকে সংযম গড়ে উঠে, সংযমী হওয়ার অভ্যাস প্রতিদিন করতে হয়, ঠিক সে বয়সেই এদের কাছে উত্তেজক আহার সমাজ প্রতিনিয়ত যোগান দিচ্ছে, তারা দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে-হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে পাপে ডুবে যাচ্ছে।
এ উদ্দীপক উপাদানগুলো কি? কোথা থেকে আসছে-সেটাই দেখা যাক। বিভিন্ন টিভি আকাশ সংস্কৃতি দূরদর্শন এ উপলক্ষে একটি ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক মাধ্যম। দূরদর্শন উদ্দীপক উপাদানের একটি জলন্ত যন্ত্র। সংখ্যাতত্তে¦র বিচারে একটি, কিন্তু ক্ষতির পরিমাপকে বিচার করলে হাজারটি ক্ষতিকারক মাধ্যমের ভ‚মিকা একটি মাধ্যমের মধ্য দিয়েই প্রতিফলিত হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশের হিন্দী ছবিতে, যা দেখানো হয় তার ভিতর থেকে উগ্র যৌনতাকে ছেলেমেয়েরা গ্রহণ করে। যেসব ফিল্ম দূরদর্শনে পরিবেশিত হয় তার মধ্যে থাকে কামনা-বাসনা এবং দেহ ভোগের নানা ছল-কলা-যা ছেলেমেয়েদের মনকে বিষাক্ত করে। তারা স্থির থাকতে পারে না-পাপের দিকে পা বাড়ায়।
প্রত্যেকদিন যদি কিশোর-যুবক এবং কিশোরী-যুবতী পর্দায় দেখে নায়ক-নায়িকাকে চুম্বন করছে, কিংবা অর্ধ-উলঙ্গ দেহে বার বা হোটেলে নাচ করছে কিংবা খলনায়ক কোনও নারীকে জোর করে ধর্ষণ করছে তখন ওই ছেলেমেয়ের মধ্যে কি প্রতিক্রিয়া হবে? আমরা সহজেই অনুমান করতে পারি, ওই একই দৃশ্য তাদের মনের কামনাকে প্রজ্বলিত করবে। তারা অস্থির হয়ে উঠবে এবং সুযোগ তৈরী করে পাপ কাজ করবে এবং করছেও। টেলিভিশনে যেসব নগ্ন বিজ্ঞাপন দেখানো হয় তা শুধুমাত্র কিশোর-যুবক এবং কিশোরী-যুবতীদের ক্ষতি করছে না, ক্ষতি করছে শিশুদেরও। ছবিগুলো শিশুর অবচেতন মনে জমে থাকছে-পরবর্তীতে শিশু সে জমাকৃত ছবি বাস্তবের সংঘাতে চেতন মনে উঠে আসবে-যা জীবনের পক্ষে প্রচন্ড ক্ষতিকারক।
সরকারি ছাড়াও বেসরকারি চ্যানেল রয়েছে। অসংখ্য চ্যানেল। দিন এবং রাতে এসব চ্যানেলে যা দেখানো হয় তা দুশো কিলোমিটার বেগের ঝড়ের থেকেও ভয়ঙ্কর এবং ক্ষতিকারক। রাতভর ওইসব চ্যানেল চলে অর্ধ উলঙ্গ নৃত্য-যৌন ব্যভিচারের নানা দৃশ্য-যা কিশোর-যুবক এবং কিশোরী-যুবতীকে বিকৃত যৌন চেতনার মধ্যে ঠেলে দেয়। যাদের ভিসিপি/ ভিসিডি আছে তাদের নরক উদ্যানে যাওয়ার পথও উন্মক্ত।
এ তো গেল দেহকেন্দ্রিক পাপ বা অপরাধ। দেহগত পাপের পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের মধ্যে খুন বা হত্যা করার প্রবণতা ও তৈরী হয়ে যায়। আমি আলোচনার প্রারম্ভেই বলেছি যে, কল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে এ সব ছেলেমেয়েরা রীতিমত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায়। রূপালী পর্দায় যে কাল্পনিক খুনের দৃশ্য দেখানো হয়-যাকে সাধারণ ভাবে বাস্তবায়িত করা অসম্ভব-সে অসম্ভবকে এসব ছেলেমেয়েরা করে সম্ভব। ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে এরা খুন করে। এ খুন করার মানসিকতার জন্মদাতা ওই টেলিভিশন মাধ্যম। খুনের সংখ্যা এবং দেহগত পাপের পরিমাণ ভীষণভাবে বেড়ে চলেছে। এভাবে চলতে থাকলে সমাজ পাপে তলিয়ে যাবে।
যে কারণগুলোর কথা আলোচনা করা হলো, সেসব কারণ ছাড়া অন্য কারণও আছে। অন্যান্য কারণগুলো সংক্ষেপে বিবৃত করছি। বেশ ক’বছর আগেও ছাত্র-শিক্ষকের সম্বন্ধ গুরু-শিষ্যের মত ছিল। ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক-শিক্ষিকাকে অত্যন্ত সমীহ করত এবং সঙ্গে থাকত ভক্তি মিশ্রিত শ্রদ্ধা। আজকাল আগেকার দিনের মত আদর্শবান শিক্ষকের বড় অভাব, অভাব আদর্শবতী শিক্ষয়িত্রীর। নিয়ম ও শৃঙ্খলাপরায়ন বিদ্যালয়েরও অভাব। অভাব আদর্শ পিতা-মাতার, অভাব ব্যক্তিত্বপূর্ণ অভিভাবকের। এখন দেখি শিক্ষকরা ভাই হয়ে গেছে। ভাইয়েরা যত্রতত্র কোচিং খুলে বসে আছে। ওমুক ভাইয়ের কোচিং-এ না পড়লে সব বিষয়ে ভাল নম্বর পাওয়া যাবে না, সে জন্য চল ওমুক ভাইদের কোচিংয়ে। নিয়ম-শৃঙ্খলার বালাই নেই। কোচিংয়ে যাওয়ার বাহানা করে ছেলেমেয়েরা অকালে-অসময়ে পাপের ঘরে প্রবেশ করছে এমনও দেখা যায়।
সরকারি শিক্ষা নীতি চালু থাকলেও ব্যবস্থার প্রতি উদাসীন। একজোট হয়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশৃংখলা নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। তারা সরল কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতীদের নিয়ে রাজনৈতিক মিছিল করছে-আন্দোলন করছে-যার পরিণতি ছাত্র সমাজের অধঃপতন। এ কারণেই নিয়ম-শৃঙ্খলা এবং মূল্যবোধের নিম্নগামী যাত্রা শুরু হল, আজ মূল্যবোধ বইয়ের মধ্যে একটি ‘শব্দ’ হয়ে বেঁচে আছে। শুধুমাত্র কোনও একটি কারণের জন্য কিশোর-যুবক এবং কিশোরী-যুবতী অপরাধ জগতের বাসিন্দা হচ্ছে না,যৌথ কারণের জন্যই তারা অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। এর প্রতিকারের কথা সুধী সমাজ নিশ্চয়ই ভাবছেন-ভাবছেন শিক্ষাবিদ এবং সমাজ-বিজ্ঞানীরা, ভাবছেন রাষ্ট্রনায়কগণ। শেষ করার আগে পিতামাতা, অভিভাবক এবং কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে যাঁরা আছেন তাঁদের একটি বিষয় স্মরণ করিয়ে দিতে চাই-সেটি হল, পড়াশুনা এবং মানুষ হওয়ার সুন্দর বাতাবরণ যদি তৈরী করা যায়, যদি প্রতিনিয়ত ছাত্র-ছাত্রীদের ভালোর দিকে চলার দিক নির্দেশনা থাকে, চরিত্র গঠনের পরিবেশ থাকে তাহলে-কোন ছেলেমেয়েই পিচ্ছিল পথে যাবে না- সবকটি ছেলেমেয়ে মানুষের মত মানুষ হয়ে উঠবে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন