শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

চান্দিনায় টমেটো পচে নষ্ট অর্থনীতির চরম ক্ষতি

| প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় বিপাকে কৃষক
চান্দিনা (কুমিল্লা) থেকে মুন্সী কামাল আতাতুর্ক মিসেল : পুষ্টিমানের বিবেচনায় শীতকালীন ফসল হিসেবে টমেটো আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবার কাছে সমাদৃত। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে টমেটো ‘ভিটামিন সি’ সমৃদ্ধ একটি ফসল যা কাঁচা তরকারি, সালাদ, সস হিসেবে ব্যবহৃত হলেও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাব, এবং বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করার মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় কুমিল্লার চান্দিনায় টমোটে সংরক্ষণের জন্য কোন হিমাগার গড়ে ওঠেনি। ফলে কৃষি থেকে যে উদ্বৃত্ত তৈরী হচ্ছে সে সঞ্চিত পুঁজিতে নির্মিত হচ্ছে কুমিল্লায় শপিং কমপেক্স তৈরী হচ্ছে। অথচ পচনশীল টমেটো সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাবে কৃষকরা তাদের টমোটো পানির দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এজন্য কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত শস্য সংরক্ষণের অভাবে পচনের হাত থেকে রক্ষা করতে না পারায় প্রতি বছর লাখ টাকার টমেটো নষ্ট হওয়ায় দেশের অর্থনীতির চরম ক্ষতি হচ্ছে।
কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চান্দিনায় প্রচুর জমিতে টমেটোর চাষ হয়েছে, ফলনও ভালো। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকার ফলে টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। শীতের শুরুতে টমেটো বিক্রি শুরু হলেও তা চলবে চৈত্র-বৈশাখ পর্যন্ত। শীতের শুরুতে কৃষক টমেটো বিক্রি করে লাভবান হলেও ফাল্গুন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে চৈত্র-বৈশাখের মাঝামাঝি পর্যন্ত খরার কারণে কৃষক উৎপাদিত টমেটো বিক্রি করে লাভবান হতে পারে না। কুমিল্লা জেলার নিমসার বাজার এ জেলার সবচেয়ে বড় টমেটোর আড়ৎ হিসেবে পরিচিত। প্রতিদিন এ বাজারে প্রায় ৯০০ মে. টন টমেটো আমদানি হয়ে থাকে এবং তা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। কৃষক আনোয়ার তার উৎপাদিত টমেটোর ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করে বলেন, জেলায় উৎপাদিত টমেটো সংরক্ষণ করার কোনো ব্যবস্থা নেই, সেহেতু কৃষক ক্ষেত থেকে টমেটো তুলে সরাসরি নিমসার পাইকারি বাজারে নিয়ে আসে।
কুমিল্লার সম্ভবনা ও সংকট নিয়ে কথা হয় ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, ব্যাংকাদের সঙ্গে। সবাই আশার কথা বলেন। কিন্তু কীভাবে কাজ হবে সে রাস্তা কারও জানা নেই। ব্যংকাররা বলেন, সঠিক উদ্যোক্তা পাই না বলে আমরা বড় প্রাল্পে ঋণ দেই না। অন্যদিকে উদ্যোক্তারা বলেন, ব্যাংক ও সরকারের কাছ থেকে সহযোগিতা না পেলে হিমাগার করবো কীভাবে। ফলে হিমাগারের ক্ষেত্রে চান্দিনায় এক রকম নিশ্চল অবস্থা। এসব কাচা সবজি বহুবিদ ব্যবহার এলাকায় সবজি হিমাগার তৈরী করা হলে প্রতি বছর এ এলাকা থেকে কোটি কোটি টাকার সবজি সংরক্ষণ করা সম্ভব হতো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন