রাউজান (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা
চট্টগ্রামের রাউজানে পিংকি দাশ (২৩) নামের এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সাড়ে ১০টার দিকে নিহত গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার গুজরা ইউনিয়নের মগদাইর গ্রামের শ্যামাচরণ মহজান বাড়ির সঞ্জয় দাশের স্ত্রী ও বায়েজিদ আবাসিক এলাকার রতন দাশের কন্যা। নিহতের শ্বশুড় মৃদুল দাশ বলেছেন, প্রতিদিনের মতো আমার বউমা প্রদীপ প্রজ্জোলন শেষে নাতি-নাতনিকে নিয়ে তার শয়নকক্ষে গিয়ে দরজা ভেতর থেকে লক করে দেয়। দীর্ঘক্ষণ দরজা না খোলায় বাইরে থেকে চাবি দিয়ে দরজা খোললে তাকে ফ্যানের সাথে উড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে বেঁচে আছে ভেবে তাকে নামিয়ে রাখলে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে। ওই সময় নিহতের স্বামী সঞ্জয় নোয়াপাড়াস্থ আমির মার্কেটের তার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে (কাপড় বিপনী বিতান) ছিল বলে দাবি করেন তিনি। নিহতের শ্বাশুরি পায়ের সমস্যাজনিত ও শ্বশুর হার্টের সমস্যায় ভোগছেন।
তারা দুজনই অসুস্থ। তাদের একমাত্র পুত্রের স্ত্রী কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তাঁর সঠিক তথ্য জানাতে পারেননি কেউই। অপরদিকে নিহতের পরিবারের দাবি গৃহবধু পিংকিকে পরিল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের ভাই বাবলু দাশ বলেন, আমার বোনের মৃত্যুর মৃত্যুর খবর দিলে আমরা সেখানে গিয়ে রহস্যজনক মনে হওয়ায় আমি রাউজান থানায় গিয়ে অপমৃত্যু মামলা (মামলা নং-০৬/১৭, ২১/১২/১৭) করেছি। এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। নিহত পিংকিকে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো বলেও দাবি করেন। এ প্রসঙ্গে গুজরা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মহসিন রেজা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ঘরের মেঝ থেকে আমরা লাশ উদ্ধার করে শুক্রবার সকালে মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা বলা যাচ্ছে না। তবে গলায় দাগ ছিল বলে জানান তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী সঞ্জয় দাশকে নেয়া হয়েছে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সে থানা হেফাজতে ছিল। জানা গেছে, গত ৪/৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ওই দম্পতির উত্তম দাশ নামের ১ পুত্র ও পুষ্পিতা দাশ নামের ১ কণ্যা সন্তান রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন