শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

মাইজভান্ডারে শত বছরের পুরনো স্থাপনা উচ্ছেদ

| প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : গতকাল রোববার ও শনিবার দেশের অন্যতম আধ্যাত্মিক জগৎ ‘মাইজভান্ডার দরবার শরীফ’ সড়ক এবং মাজার পুকুরের চতুর্পাশের্^র বৈধ-অবৈধ পুরোনা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। শত বছরের পুরোনো জঞ্জাল অপসারণে ফটিকছড়ি’র এমপি এবং মাইজভান্ডার দরবার শরীফের আওলাদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর নেতৃত্বে এ স্বত:স্ফূর্ত অভিযান শুরু হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগ, নির্মাণাধীন নাজিরহাট-মাইজভান্ডার সড়কের দুই ঠিকাদার এবং স্থানীয় জনগণের স্বত:স্ফূর্ত উদ্যোগে এ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে নাজিরহাট-মাইজভান্ডার সড়কের দু’পাশ অবৈধ দখলমূক্ত করে ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটি ২৮ ফুট প্রশস্থ করে কার্পেটিং কাজ চলছে। কিন্তু মাইজভান্ডার দরবার শরীফের ভেতরের সড়ক ও মাজার পুকুরের চতুর্পাশের্^র বৈধ-অবৈধ স্থাপনা গুলো নানা কারণে শত বছর ধরে উচ্ছেদ করা যাচ্ছিল না কোন ভাবেই। মাইজভান্ডার দরবার শরীফের আওলাদগণ পর্যায়ক্রমে শতাধিকবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এবার ফটিকছড়ি’র এমপি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী যেহেতু ওই দরবার শরীফেরই আওলাদ; সেহেতু তিনি দায়িত্ব নিয়েই দিনব্যাপী এ সাহসী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করলেন। গত শনিবারের এ অভিযানে মাজার পুকুরের চতুর্পাশর্^ থেকে মোট ২৮টি ছোট-বড় দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এ ঘটনা মাইজভান্ডারের ইতিহাসে নজীরবিহীন বলে আখ্যায়িত করেছে এলাকাবাসী।
এ উচ্ছেদ অভিযানের সময় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন, ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম বাবু, মাইজভান্ডারের আওলাদ শাহসূফি সৈয়দ ওসমান কাদের মাইজভান্ডারী, শাহসূফি সৈয়দ শামসুল কবির মাইজভান্ডারী, আওয়ামীলীগ নেতা এইচএম আবু তৈয়ব, ফটিকছড়ি প্রেসক্লাব সভাপতি সৈয়দ জাহেদুল্লাহ কুরাইশী, যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ হাসানসহ সর্বস্তরের এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে এমপি সৈয়দ নজিবুল বশর বলেন, আমার নিরলস প্রচেষ্টার ফলে নাজিরহাট-মাইজভান্ডার সড়ক নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মূলত: দরবার শরীফের সৌন্দর্য বর্ধণ এবং আগত ভক্তবৃন্দের সুবিধার্থে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং জনগণের সহায়তায় এ অভিযান চলছে। আমার অনুরোধে এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসায় তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এ জঞ্জাল অপসারিত হওয়ায় এখন সওজ কর্তৃপক্ষ সড়ক ও মাঠ সংস্কার করে দেবে। উন্নয়নে এগিয়ে আসবে উপজেলা পরিষদও।
এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম বাবু বলেন, মাইজভান্ডার পুরো দেশ ও বিশে^ আধ্যত্মিক দিক থেকে অতিপরিচিত নাম। কিন্তু সেভাবে কোন সুযোগ-সুবিধা কিংবা সৌন্দর্য এখানে বিদ্যমান নেই। তাই আমরা জনপ্রতিনিধিরা উদ্যোগী হয়ে এ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছি। আমরা উপজেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দ দিয়ে মাজার পুকুরের দক্ষিণ-পূর্ব-উত্তর পাড়ে দৃষ্টিনন্দন বাগান এবং ঘাটলা তৈরী করে দেব। পশ্চিম-দক্ষিণ কোনে মহিলাদের জন্য ‘গোসলখানা-টয়লেট’ নির্মাণ করবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন