শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কুমিল্লার এক কোটি ৬০ লাখের বেশি পাঠ্যবই বিতরণ

| প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

কুমিল্লা থেকে সাদিক মামুন : নতুন ক্লাশের নতুন বই হাতে পেয়ে উচ্ছ¡াসের কমতি ছিল না শিক্ষার্থীদের। কুমিল্লার ১৬ লক্ষাধিক ছাত্রছাত্রীর মধ্যে এক কোটি ৬০ লাখের বেশি পাঠ্যবই বিতরণ করা হয়েছে। নতুন বছরের প্রথম দিন গতকাল সোমবার পৌষের সোনালি সকালে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ স্কুলে এসে বিনামূল্যের নতুন পাঠ্যবই হাতে পেয়ে হাসিমুখে বাড়ি ফিরেছে। কুমিল্লার অধিকাংশ স্কুলে পাঠ্যবই বিতরণ উৎসব ঘিরে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল। স্কুল ও মাদরাসার প্রতিষ্ঠান প্রধানরা শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে তাদের পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার আহŸান জানিয়েছেন। কুমিল্লার জেলার সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল, মাধ্যমিক পর্যায়ের কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রাথমিক স্কুল ও মাদরাসায় উৎসবমুখর পরিবেশে ২০১৮ বর্ষের সম্পূর্ণ পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের ভিত্তিতে নতুন এক কোটি ৬৬ লাখ ৫৫ হাজার ২৯৩টি বই ১৬ লাখ ৩১ হাজার ৪৮২জন ছাত্রছাত্রীর হাতে তুলে দেয়া হয়। কুমিল্লা নগরীর স্কুলগুলোতে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ১১টা চলে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ উৎসব। জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা-উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রতিষ্ঠান প্রধান বা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন বই বিতরণ করেন।
বই উৎসবে নেই সভাপতি-সুপার
শ্রীপুর (গাজীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : উপজেলার প্রায় তিন শতাধিক সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উৎসবমুখর পরিবেশে বই বিতরণ অনুষ্ঠান পালিত হলেও ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে উপজেলার অদূরে সাগরিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসায়। গতকাল ১ জানুয়ারি বেলা ১১টায় সরেজমিন দেখা যায়, মাদরাসার সভাপতি ও সুপারের অনুপস্থিতিতেই সহকারী শিক্ষকরা নিরুৎসাহীভাবে ছাত্রীদের মধ্যে বই বিতরণ করছেন। শিক্ষক ও এলাকাবাসীসহ কমিটির সদস্যদের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিনজন শিক্ষক প্রতিনিধি জানান, ২০১৭ সালের আগস্টে সুপার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন নুরুল আমিন মৃধা। পরবর্তীতে ধরা পড়ে এমপিও সনদ ও ইনডেক্স জালিয়াতি। অভিযোগ উঠে মাদরাসা ছাত্রীকে যৌন হয়রানির। এরপর থেকে তিনি আজ পর্যন্ত মাদরাসায় অনুপস্থিত রয়েছেন।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা জানান, মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম ঢালী সুপারের অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে বোর্ডের নির্দেশনায় ব্যবস্থা না নেয়ায় ও তার পক্ষ নেয়ায় জনরোশের কারণে তিনিও মাদরাসায় আসেন না। গত ফেব্রæয়ারি থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত কোনো মিটিংই করেননি। এ ছাড়া সভাপতি ও সুপারের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের নামে একের পর এক সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে। সদস্যরা আরো জানান, সুপারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ থাকা সত্তে¡ও এক বছর ধরে এমপিও না হলেও অবৈধভাবে ঢাকা অঞ্চলের ডিডি অফিস থেকে এম পিও হওয়ার কাজ প্রায় সম্পন্ন। অধ্যক্ষ ও সভাপতির এহেন কর্মকাÐের বিষয়ে ছাত্রী অভিভাবকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং অনেক অভিভাকরা ছাত্রীদের মাদরাসা থেকে নিয়ে যাওয়ারও আবেদন করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সুপারের জাল জালিয়াতির কথা স্বীকার করে বলেন, তার নিয়োগ প্রক্রিয়াটিও অবৈধ। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শিক্ষা বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় তথ্য দেয়া আছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন