কালিয়াকৈর (গাজীপুর) থেকে মো. আবদুল মান্নান : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় ‘মাহমুদ জিন্স লিমিটেড’ নামে একটি কারখানার বিষাক্ত পানিতে মরে যাচ্ছে মাছ। পরিবেশ হচ্ছে দুষিত। পানি বাহিত রোগে শিশুসহ স্থানীয় বাসিন্দারা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কারখানা কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালীপনার কারণেই অসহায় মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় প্রতিষ্ঠিত ‘‘মাহমুদ জিন্স’’ কারখানার বিষাক্ত পানিতে আশপাশের পুকুরের মাছ মরে যাচ্ছে। কারখানার বিষাক্ত পানি কেবল পুকুরে নয় বাসাবাড়িতেও প্রবেশ করছে। বিষাক্ত পানির এমনই দশা যে কেউ কেউ বাধ্য হয়ে কলার ভেলায় করে বাসাবাড়িতে যাতায়াত করছে। বিষাক্ত পানির দুর্গন্ধ ও মশার কামড়ে অনেক শিশু নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ওই এলাকায় বসবাসরত শতশত মানুষ । মশার অভয়ারণ্য হিসেবে ওই কারখানার বিষাক্ত পানিকেই দায়ী করছেন স্থানীয়রা। যদিও পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের আওতাধীন এলাকাটি। কিন্তু সময়মত পৌর কর পরিশোধ করেও কারখানার বিষাক্ত পানি ও মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না স্থানীয়রা। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারের মালিক সুভাষ চন্দ্র জানান, কারখানার বিষাক্ত পানিতে তার পাঁচটি খামারের অর্ধ-কোটি টাকার মাছ মরে গেছে।
এ ব্যাপারে আলাপকালে মাহমুদ জিন্স লিমিটেড কারখানার সিনিয়র-ব্যবস্থাপক (এইচআর, এডমিন এন্ড সিএসআর) মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এতদিন কারখানার ডাইংয়ের পানি ড্রেনেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে বাহিরে যেতো। কিন্তু ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক চার লেনে উন্নতি হওয়ার কাজের জন্য ওই ড্রেনেজ ব্যবস্থাটি বন্ধ রয়েছে। তাই কারখানার পানি ফেলার জন্য বিকল্প পথ হিসেবে আরেকটি স্যুয়ারেজ লাইন করা হয়েছে। ফলে কারখানার পানি আশপাশের মৎস্য খামারেসহ অনেক স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে আলাপকালে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি পরিবেশ অধিদফতরকে অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ওই ব্যপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন