শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

মেঘনার চাঞ্চল্যকর আবদুল্লা হত্যাকান্ড : মামলা তুলতে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি

প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কুমিল্লা উত্তর সংবাদদাতা : সন্ত্রাসের প্রতিবাদকারী কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চালিভংগা গ্রামের চাঞ্চল্যকর মোঃ আবদুল্লা হত্যা মামলা তুলে নিতে আসামীরা নিহতের পরিবারকে অব্যাহত প্রাণনাশ করার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের বড় ভাই মামলার বাদী মোঃ দিলবর জানান, মামলা তুলে নিতে সন্ত্রাসী হুমায়ুন, ছানাউল্লা, মিজান, কাইয়ুম ও দাইয়ান আমাকে ও আমার পরিবারের সকলকে খুন করার হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলেন, মামলা না তুললে এলাকা ছড়ার হুমকিও দেন সন্ত্রাসীরা। ফলে আমরা এক ভীতিকর অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি। এদিকে চালিভাংগা বাজারসহ আশপাশ এলাকায় গত ৫ বছর ধরে উক্ত ৫ সন্ত্রাসী  গ্রুপের হাতে একের পর এক নিরীহ নিরপরাধ মানুষ হত্যার শিকার হওয়ায় এলকাবসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ফুঁসে উঠেছে। এদিকে এলাকার রাজনীতিক, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণী পেশার লোকজন হত্যাকান্ডগুলোর সাথে জড়িত সন্ত্রাসের ৫জন গডফাদার কাইয়ুম, হুমায়ুন, মিজান, ছানাউল্লাহ ও দাইয়ানকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, সন্ত্রাসীরা পাশের নলচর গ্রামে আত্মগোপন করে আছে। সেখান থেকেই সন্ত্রাসীরা বড় বড় হুঙ্কার দিয়ে মানুষের মাঝে ভীতির সৃষ্টি করছে। এদিকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এই ৫ জন সন্ত্রাসীর ফাঁসি দাবি করে তাদের ছবি সংবলিত এবং সিরিজ খুনের কথা উল্লেখ করে এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এই ৫ জন সন্ত্রাসীই ৭টি হত্যাকা-ে মূল নায়ক। এদিকে উক্ত সন্ত্রাসীরা সর্বশেষ হত্যাকা- সংঘটিত করেছে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন বিকাল ৪টার দিকে চালিভংগা বাজারে শত শত মানুষের সামনে যুবলীগ কর্মী মোঃ আবদুল্লাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। সন্ত্রাসীদের প্রকাশ্য অস্ত্রের মহড়ার কাছে ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। পরদিন নিহতের ভাই দিলবর মিয়া বাদী হয়ে ১৮ জনকে আসামী করে মেঘনা থানা মামলা দায়ের করেছে। আবদুল্লা হত্যাকান্ডকে ঘিরে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। চাঞ্চল্যকর আবদুল্লা হত্যার জড়িত অভিযোগে মেঘনা পুলিশ গাফ্ফার ও রনি নামের দুই দাগি সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করলেও মূল ঘাতকরা এখনো ধরাছোয়ার বাইরে থাকায় নিহতের পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। মেঘনা থানার ওসি ইনকিলাবকে বলেন, এরই মধ্যে দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছি। বাকিদেরও গ্রেফতারের জোড় অভিযান চলছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন