মহেশপুর (ঝিনাইদহ) উপজেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহের মহেশপুরে মথুরা, গোকুলনগর, করিঞ্চা ও কুশাডাঙ্গা বীজ বর্ধন খামারের ২৭২ একর জমির ব্লাস্ট আক্রান্ত গম ক্ষেতই পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। দত্তনগর বীজ উৎপাদন খামার বিভাগের কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপেক্ষিতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আশাফুর রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ফার্মের ১৮টি স্পটে গমক্ষেত পোড়ানোর উদ্বোধন করেন। সরকারী নির্দেশে বিএডিসির দত্তনগর বীজ উৎপাদন খামারের অধীন মথুরা, গোকুলনগর, করিঞ্চা ও কুশাডাঙ্গা বীজ বর্ধন খামারের ২৭২ একর জমির ব্লাস্ট আক্রান্ত গম ক্ষেতেই পুড়িয়ে ধ্বংস করার সময় বিএডিসির মহাব্যবস্থাপক (বীজ) আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (খামার) মুজিবুর রহমান, যুগ্ম পরিচালক (বীজ পরীক্ষা) আশুতোষ লাহুড়ী, প্রকল্প পরিচালক বিপন কুমার মন্ডল, প্রকল্প পরিচালক (ঢাকা) প্রদীপ চন্দ্রদে, অতিরিক্ত পরিচালক মাঠ প্রশাসন মেহের আলী, আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা অশোক কুমার হালদার, যুগ্ম পরিচালক জামিলুর রহমান, যুগ্ম পরিচালক (ফরিদপুর) দেবদাস শাহাসহ মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও যশোরের আঞ্চলিক পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ফায়ার ব্রিগেড, মেডিক্যাল টিম ও পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল।
বিএডিসির মহাব্যবস্থাপক (বীজ) আমিনুল ইসলাম জানান, ১৯৮৫ সালে ব্রাজিলে প্রথম এই রোগ দেখা দেয়। ৩১ বছর পর আমাদের দেশে বৃহত্তর যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলে গমে ব্লাষ্ট রোগ দেখা দিয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়, বিএডিসি ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউটের নির্দেশক্রমে মথুরা, গোকুলনগর, করিঞ্চা ও কুশাডাঙ্গা বীজ বর্ধন খামারের ফসলের নিরাপত্তার খাতিরে আবাদকৃত ২৭২ একর জমির ব্লাস্ট আক্রান্ত গম ক্ষেতেই পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এই রোগাক্রান্ত গম খেলে স্বাস্থ্যহানীর সম্ভাবনা খুবই কম, তবে বীজ হিসাবে এই গম ব্যবহার করলে দেশের গম চাষ হুমকির মধ্যে পড়তে পারে। দিনাজপুরের গম গবেষনণা কেন্দ্রের পরিচালকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, শীষ বের হওয়ার সময় ফেব্রুয়ারী মাসে খুলনা বিভাগের ৫টি জেলায় বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং তাপমাত্রা বেশী ছিল।ফলে হুইট ব্লাস্টের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। বৃষ্টিপাত হলে হুইট ব্লাস্টের বিস্তার ঘটে।বারি ২৬ জাতের গমে ব্লাস্টের প্রাদুর্ভাব বেশী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন