বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বিশ্বমানের পর্যটনে রূপ দিতে রাঙ্গুনিয়া রাসেল ইকোপার্কে ১২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা বরাদ্দ

| প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে নুরুল আবছার চৌধুরী : রাঙ্গুনিয়ায় শেখ রাসেল এভিয়ারী এন্ড ইকো পার্ক বিশ্বমানের পর্যটনে রূপ দিতে প্রায় ১২৫ কোটি ৫১ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি মন্ত্রী পরিষদে একনেকে বাজেট পাস করেছেন। প্রকল্প এলাকায় শনিবার পরিদর্শন করেছেন বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক সফিউল আলম চৌধুরী। চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক ডক্টর জগলুল হুদা, প্রধান দক্ষিন বন বিভাগীয় কর্মকর্তা ও পার্ক প্রকল্প পরিচালক মোজাম্মেল হক চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা প্রহলাদ চন্দ্র রায়, ফরেষ্টার মো. হাসিবুল রহমান সহ বন কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বন সংক্ষক সফিউল আলম চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অচল হয়ে পড়ে থাকা ক্যাবল কার (রোপ ওয়ে) চালু করা হবে। গত বছর পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্থ পার্কের বিভিন্ন স্থাপনা মেরামত, নির্মান এবং পুনঃনির্মানসহ উন্নয়নের ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। পার্ক সম্প্রসারন, বার্ড গ্যালারী স্থাপন এবং অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এভিয়ারী পার্ককে আকর্ষনীয় বিশ্বমানের পর্যটন হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জের কোদালা বিটের চন্দ্রঘোনা দক্ষিণ নিশ্চিন্তাপুরের প্রায় ২১০ হেক্টর বনভূমি নিয়ে শেখ রাসেল এভিয়ারী এন্ড ইকো পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। আর্ন্তজাতিক পর্যটক বৃদ্ধি ও বিশ্বমানের বিনোদন ষ্পট রূপ দিতে ১২৫ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রকপ্লের আওতায় ৪টি ফেইজে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত করা হবে বলে জানা গেছে। আর্ন্তজাতিক মানের করতে নানা মুখি উন্নয়ন প্যাকেজের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। সবুজ পাহাড় ও কৃত্রিম হ্রদের উপর দিয়ে আরো এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নতুন ভাবে ক্যাবল কার যোগ করা হবে। প্রকল্প এলাকায় সীমানা ওয়াল নির্মাণ সহ নিরাপত্তা জোরদার করা হবে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
ফরেষ্ট অফিসার হাসিবুল রহমান জানান, পার্কের স্থানে স্থানে সুবিশাল খাঁচায় দেশী বিদেশী প্রজাতির পাখি। পার্কে প্রবেশ দ্বারে অপরূপ শোভা মন্ডিত কৃত্রিম লেক। লেকে দেশী বিদেশী হাঁস ও দৃশ্যমান নানা প্রজাতির পানিজীবি পাখি ও পান কৌরির জীবন জীবিকার নানা চঞ্চলতা। লেকের মাঝখানে নির্মিত দ্বীপ। সংযোগ সেতুতে দ্বীপে যোগাযোগ ব্যবস্থা। নানা আকর্ষন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাসু মানুষের বিনোদনের জন্য শেখ রাসেল এভিয়ারী পার্ক হয়ে উঠে অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র।
পর্যটক ও বিনোদন প্রেমিদের জন্য বৃক্ষাচ্ছাদিত সবুজ বাগানে আকষর্ণীয় ভাবে সাজানো হয়েছে। পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে গড়ে তোলা হয়েছে বসার তোরণ। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে কিচিমিছির শব্দে শতশত পাখি উড়ে বেড়াচ্ছে। হরেক রকম পাখির কলকলানিতে সবুজ পাহাড় মুখরিত হয়ে উঠে। এছাড়াও পার্কে মিনি চিড়িয়াখানা গড়ে তোলা হয়েছে। খাচার ভিতর শতশত বিভিন্ন জাতের পাখি রাখা হয়েছে।
রাঙ্গুনিয়া শেখ রাসেল এভিয়ারী এন্ড ইকো পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পহলাদ চন্দ্র রায় বলেন, এক কিলোমিটার ক্যাবল কার সংযোজন, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, নতুন একটি লেক, বার্ড গ্যালারী সহ বিভন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত করা হবে। সর্বোপরি পার্কটি যুগোউপযোগী করে গড়ে তোলতে নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন