শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সীতাকুন্ড উপক‚লে পানিতে ভাসছে কৃষকের স্বপ্ন

আমন ঘরে তোলা অনেকটা অনিশ্চিত

| প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : সীতাকুন্ড সমুদ্র উপক‚লে লোনা পানিতে ভাসছে কৃষকদের সোনালি আমন ধান। বাড়বকুন্ড ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ এলাকার ভোলাইপাড়া গ্রামে প্রায় তিন-চার একর জমির কৃষকের কাটা ধান পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিন যাওয়ার পর ভোলাইপাড়া এলাকার সাগর উপক‚লে ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক কৃষক অভিযোগ করে বলেন, অন্যান্য মৌসুমের মতো চলতি মৌসুমেও অনেক আশায় সোনালি ধান আমনের চাষ করেন।
ফসল উৎপাদন পর্যন্ত তারা জমিতে শ্রম ও প্রচুর টাকাও খরচ করেছেন বাড়িতে সোনালি ধান গোলায় তোলবেন বলে। কিন্তু প্রান্তিক কৃষকরা যখন ধান কাটা শুরু করেন, ঠিক ওই মুহূর্তে সাগর উপক‚লে অবস্থিত ইউনিটেক্স নামের একটি নির্মাণাধীন গ্যাস কারখানা সমুদ্র থেকে বালু উত্তোলন করার কারণে জমিতে বিভিন্ন স্থানে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে করে বালুর সাথে সাগরের লোনা পানি এসে কৃষকের জমির কাটা ধান পানিতে কয়েক দিন পর্যন্ত ডুবে যায়। ফলে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষক মো. বাদশা মিয়া জানিয়েছেন, প্রতি বছরের মতো চলতি বছরেও তিনি তার ৮০ শতক জমিতে আমন ধানের চাষ করেন। তিনি জমির পাকা ধান কেটে জমিতেই রেখে দেন বাড়িতে আনার উদ্দেশ্যে। অথচ ইউনিটেক্স নামের প্রতিষ্ঠানটি সমুদ্র থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার কারণে তার জমির পাকা ধান পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময় তারা ব্যাপক ক্ষতির শিকার হন। কৃষক বাদশা মিয়ার মতো মো. জামাল উল্লাহ শহিদুল ইসলাম, লোকমানসহ অনেকের অভিযোগ, তাদের প্রায় চার একর জমির পাকা ধান ড্রেজারের পানিতে ডুবে থাকায় বাড়িতে ধান তোলা প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
এ বিষয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুশান্ত সাহা বলেন, কৃষকদের ধান পানিতে ডুবে থাকার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমি ওই এলাকায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখব। ইউনিটেক্স গ্রæপের স্টেট অফিসার মো. গোলাম মাওলার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ড্রেজারের কারণে সমুদ্রের পানিতে ধান নষ্টের বিষয়ে তার জানা নেই। এ ছাড়া তিনি এখন ছুটিতে আছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন