বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ফেনীতে তৈরি হচ্ছে ইকোপার্ক

জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও ইকো-ট্যুরিজমের উন্নয়ন

| প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ওমর ফারুক ও মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন : জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ ও ইকোটুরিজের উন্নয়নে ফেনীতে তৈরি হচ্ছে ইকোপার্ক। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ভারত সীমান্তবর্তী ফেনী সদর উপজেলার কাজিরবাগে হয়ে উঠতে পারে জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাময় স্থান। ইকোপার্ক তৈরি হলে বিনোদনের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এর ফলে এ এলাকায় অর্থনৈতিক কর্মকাÐ বেড়ে যাবে। ফেনীর সামাজিক বন বিভাগ সূত্র জানায়, জীববৈচিত্র সংরক্ষণ, ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়ন ও বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টির জন্য জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় ফেনী সদর উপজেলার কাজিরবাগে বন বিভাগের নার্সারি কেন্দ্রে পাঁচ একর জায়গার মধ্যে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ইকোপার্ক স্থাপন করছে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বন বিভাগ। বন বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, এই এলাকায় শাল, সেগুন, গর্জন, জাম, মেহগনি, লিচু, একাশিয়া, অর্জুন, আমলকি, বহেরা, হরিতকি, বাঁশ ও বেত গাছ বিদ্যমান রয়েছে। পর্যাপ্ত পরিবেশের অভাবে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এ এলাকার শিয়াল, সজারু, বেজি, বনবিড়াল, কাঠবিড়ালি, বানর, টিয়া, তোতা, ঘু ঘু, ময়না, গুই সাপ, বাদুর, মাছ রাঙ্গা, কাক, শালিক, কাকাতুয়া, চড়–ই ইত্যাদি। এ এলাকায় পার্শ্ববর্তী ভারত সীমান্ত থেকে হনুমান ও বানরের আগমন ঘটে নিয়মিত। এসব পশুপাখির বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি করতে পারলে জীববৈচিত্র সংরক্ষণ, বিরল ও বিলুপ্ত প্রজাতির বৃক্ষ পরিচর্যার বিশাল সুযোগ তৈরি হবে। এ জন্য ময়ুরের খাঁচা, বানরের শেড, সজারুর খাঁচাসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির খাঁচা তৈরি, পানির ফোয়ারা নির্মাণ, গভীর নলক‚প স্থাপন এবং অফিস অবকাঠামো নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এ প্রকল্পটি ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়ে ২০১৮ সালের জুন মাসে সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল। সামাজিক বন বিভাগের প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিনোদন-জীববৈচিত্র সংরক্ষণ-পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হবে। ইকোপার্ক নির্মিত হলে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের মানুষের বিনোদনের ব্যবস্থা হবে। সামাজিক বন বিভাগের ফেনীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম কায়সার জানান, প্রকল্পের কাজ দ্রæত গতিতে চলছে। এ অর্থ বছরের মার্চের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তিনি আরো জানান, এ প্রকল্পের লক্ষ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় ক্ষতিকর প্রভাব, হ্রাস, জলবায়ু পরীবর্তনের সহনীয় পরিবেশ সৃষ্টি, ইকো-ট্যুরিজমের মাধ্যমে স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করা। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে, প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্রের সমৃদ্ধ, ইকোপার্ক এলাকায় বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় বৃক্ষসহ পশুপাখির খাবার উপযোগী বনজ ও ফলজ বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ঈধৎনড়হ ঝবয়ঁবংঃৎধঃরড়হ, জনসাধারণের বিনোদনের সুযোগ, বিরল ও বিলুপ্ত প্রায় উদ্ভিদের জীনপুল সংরক্ষণ, বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ও প্রজনন ক্ষেত্র উন্নয়ন, স্থানীয় জনসাধারণের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, রাজস্ব আয়ের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন