রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

ডিভোর্স কার্যকর করার জন্য বিদেশে শাকিবের দীর্ঘ সময় অবস্থান!

| প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বিনোদন রিপোর্ট: শূটিংয়ের কাজে দেশের বাইরে গেলেও দীর্ঘ সময় ধরে চিত্রনায়ক শাকিব থাকেননি। শূটিং শেষে দেশে ফিরে এসেছেন। এবার তিনি প্রায় চার মাসের জন্য দেশের বাইরে রয়েছেন। গত নবেম্ভরে রাশেদ রাহার নোলক সিনেমার শূটিংয়ে তিনি ভারত যান। প্রায় এক মাস সেখানে থেকে শূটিং করেন। তারপর কলকাতায় যান থার্টি ফার্স্ট উদযাপন করার জন্য। সেখান থেকে চলে যান থাইল্যান্ড। এখন সেখানে আমি নেতা হবো ও চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্লা মাইয়া নামে দুটি সিনেমার শূটিং করছেন। দুই সিনেমার শূটিং শেষে যাবেন অস্ট্রেলিয়া। সেখানে সুপার হিরো ও অগ্নিপথ নামে দুটি সিমোর শূটিং শেষ করবেন। তার ফিরতে ফিরতে সময় লাগবে আরও প্রায় তিন মাস। অর্থাৎ মার্চে ফিরবেন। শাকিবের বিদেশে এই লম্বা শূটিং সিডিউল কেন, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে চলচ্চিত্রাঙ্গণে। অনেকে মনে করছেন, অপুর সাথে ডিভোর্স কার্যকর হওয়ার সময়টি তিনি অতিবাহিত করতে চাচ্ছেন। সময় অতিবাহিত হলে তিনি দেশে ফিরবেন। গত ২০ নভেম্বর শাকিব অপু বিশ্বাসকে তালাকের নোটিশ পাঠান। নিয়ম অনুযায়ী নোটিশ পাঠানোর ৯০ দিনের মধ্যে সমঝোতা না হলে তালাক সংক্রিয়ভাবে কার্যকর হয়ে যাবে। এ সময়সীমা ২০ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত। ইতোমধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের পারিবারিক আদালত শাকিব-অপু দুজনকে সমঝোতার জন্য ডেকেছেন ১৫ জানুয়ারি। ওই তারিখ কোনো কারণে মিস হলে আরো দুবার তাদের ডাকা হবে। বিদেশে শূটিংয়ের নামে শাকিবের দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করার কারণ হিসেবে চলচ্চিত্রাঙ্গণের লোকজন বলছেন, শাকিব চাইছেন কোনো ধরনের সমঝোতা প্রক্রিয়ার মধ্যে না যেতে। তাই এভাবেই সিনেমার সিডিউল দিয়ে রেখেছেন। যদিও শাকিব বলেছেন, এত দিন দেশের বাইরে থাকতে আমারও খারাপ লাগছে। কিন্তু কী করবো! সবাইকে যে আগে থেকে সিডিউল দেয়া হয়েছে। কাউকে তো ফাঁসাতে পারি না। শাকিব সিডিউলের দোহাই দিলেও মূল কারণ যে অপুর সাথে ডিভোর্স কার্যকরের সময়সীমা অতিক্রম করা, তা এখন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এদিকে অপু বিশ্বাস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য। তবে তার এ চেষ্টা যে নিস্ফল হতে যাচ্ছে, তা শাকিবের সময়ক্ষেপণ থেকেই বোঝা যাচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
১৩ জানুয়ারি, ২০১৮, ২:০৯ পিএম says : 0
এক হাতে তালি বাজে না, দুজনেরই কমবেশী দোষ আছে। সমপর্ক টিকিয়ে রাখতে দুজনেরই আগ্রহ প্রয়োজন। শুধূ একজনের আগ্রহে কোন দিন টিকবে না। দর্শকদের অনাকাংখিত পরনতিই দেখতে হবে, মনে হয়। তবে এটা রোল মডেলের সাথে বেমানান।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন