সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

তালায় কুয়াশায় বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি

| প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

তালা (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা : চলতি শীতমৌসুমে গত কয়েক দিন ধরে অব্যাহত হাড় কাঁপানো শীত ও ঘন কুয়াশায় সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় আসন্ন ইরি-বোরো রোপণের জন্য তৈরি শত শত কৃষকের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দিশেহারা কৃষকেরা নতুন করে বীজতলা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ বছর সময় মতো জমিতে ধান রোপণ করতে না পারায় ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে ও তালা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা জায়, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে এ বছর ১৮ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে ওই জমি রোপণের আশায় হাজার হাজার চাষি এক হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে নিয়মানুযায়ী চলতি পৌষ মাসের প্রথম দিকেই বীজ তলা তৈরির কাজ সম্পন্ন করেন। অথচ স্মরণ কালের রেকর্ড শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে অধিকাংশ বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বছরের একটি মাত্র ধান ফসল সুষ্ঠুভাবে ঘরে তোলার ব্যাপারে এখানকার সাধারণ কৃষকরা চরম উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। উপজেলার যুগীপুকুরিয়া গ্রামের কৃষক আবদুল্লাহ সরদার (৪০) জানান, চলতি মৌসুমে ২০ বিঘা জমিতে ইরি আবাদের লক্ষ্যে প্রায় এক মাস আগে ১৩ কাঠা জমিতে ৮০ কেজি ধানের বীজতলা সম্পন্ন করেন। যে ধানের চারা এখন রোপণ করার কথা ছিল, কিন্ত বৈরী আবহাওয়ার কারলে ওই ধানের চারা লালচে রঙয়ের হয়ে শুকিয়ে মারা যাচ্ছে। বাঁচিয়ে রাখার জন্য ইউরিয়া, থিওভিট পাউডার ও চিলামিন নামক কীটনাশক ব্যবহার করেও কোনো লাভ হয়নি। এখন পুনরায় বীজতলা তৈরি করে ধান রোপণ করতে প্রায় এক মাস পিছিয়ে যাবে। আর দেরীতে ধান রোপণ করলে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যায় না বলে তিনি জানিয়েছেন ।
এ ধরনের অভিযোগ একই গ্রামের প্রান্তিক চাষি পীর বকস সরদারের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩২) ও শাহাজান মোড়লের ছেলে কামরুল ইসলামসহ (২৮) বহু কৃষক। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী একাধিক কৃষক জানান, কৃষিপ্রধান এ দেশের গ্রামে বসবাসকারী অতি সাধারণ মানুষগুলোই কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। যে কৃষি খাতকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের সার্বিক সহযোগিতা বরাবরই প্রশংসনীয়। অথচ এ এলাকায় বছরের একটি মাত্র ধান ফসল ইরি-বোরো আবাদের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হলেও অতি গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি মাঠপর্যায়ে দেখভাল করার যেন কেউ নেই। আর স্থানীয় সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তি কর্তৃক তদারকির বিষয়টি সাগরে ঢিল ছুড়ার মতোই অবস্থা বলে এমনটি অভিযোগ উঠেছে। তবে তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সামছুল আলম জানান, প্রচন্ড শীত-কুয়াশার কারণে ধানের চারা লালচে হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এ ব্যাপারে কৃষকের খুব বেশি ক্ষতি হবে না। তা ছাড়া কৃষকের যে কোনো সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে আমাদের সার্বিক সহযোগিতা আছে এবং থাকবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন