সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা
নীলফামারীর সৈয়দপুরের উত্তর নিয়ামতপুর এলাকার বাসিন্দা ও সাবেক এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাহার আলী জমি কিনে বিপাকে পড়েছেন। প্রতিপক্ষরা একের পর এক মামলা করে হেরে যাওয়ায় বর্তমানে তার পরিবারকে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, মোস্তাহার আলী বিগত ১৯৯৮ সালে বিমান বাহিনীর ওই পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে স্কয়ার এয়ার লিমিটেডে যোগদান করেন। বিমান বাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় তিনি নিয়ামতপুর মৌজার ওসমান গনির কাছ থেকে ১৪৪০ ও ১৪৪১ দাগে দু’দফায় মোট ২৪.৭৫ শতক জমি ক্রয় করেন। জমিটি পুরো তার দখলে থাকলেও জমির কিছু অংশে পুস্করণী রয়েছে। পরবর্তীতে নিয়ামতপুর দেওয়ানীপাড়ার আবু বক্কর সিদ্দিক, সোহাগ, জাবেদ, নাজমা বেগম, নিয়ামতপুর ভজেপাড়ার কাশেম আলী, রানা মন্ডল, তাহমিনা, রশিদা বেগম, কয়ানিজপাড়ার জাহানারা বেগম, নিয়ামতপুর বানিয়াপাড়ার আমেনা বেগম অন্যায়ভাবে ও জোরপূর্বক মালিকানা দাবি করেন। এ ঘটনায় মোস্তাহার আলী থানায় অভিযোগ করেন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে সীমানা নির্ধারণে আবেদন করেন। নির্ধারিত তারিখে বিবাদীগণ সকলেই বাঁধা প্রদান করে তাকে জীবননাশের হুমকি দেন। এ অবস্থায় নীলফামারী জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌ: কা: বি: ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা করলে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক দো-তরফা শুনানীঅন্তে বিবাদী জমিতে অনুপ্রবেশে বারণ করেন। এরপরও বিবাদীদের অব্যাহত জীবননাশের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে থানায় জিডি ও ১০৭ ধারায় আদালতে মামলা করেন মোস্তাহার আলী। বিবাদীরা শান্তি ভঙ্গ করবেন না মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করলে মামলাটি নিষ্পত্তি করা হয়। বিযাদীগণ লোকজনকে নিয়ে গত শুক্রবার পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী লাঠিসোটা হাতে জমিতে প্রবেশ করে মোস্তাহার আলীর পুস্করণীর মাটি ভরাটে বাধা প্রদান করেন। এ সময় জাহানারা বেগম নামে এক বিবাদী হাজির হয়ে উচ্ছেদের হুংকার দিলে লোকজন মারমুখী হয়ে ঘরের দরজা-জানালা ভাংচুর করেন এবং ঘর থেকে বের করে আনার চেষ্টা চালান। এই ঘটনার পর বিবাদীরা অব্যাহতভাবে তাকে এবং তার পরিবারকে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছেন। তিনি বিষয়টি লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার অফিসার ইনচার্জকে জানিয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন