নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা : নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ধাইজান নদীর ভাঙনে আতংকিত হয়ে পড়েছে তিনটি গ্রামের মানুষজন। ইতিমধ্যে সদর ইউনিয়নের বাজেডুমুরিয়া, কেশবা ও গদা মৌজায় বেশ কিছু আবাদি জমি ও বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবগত করার পরেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসী জানায়, গত কয়েক বছর ধরে ভাঙছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ধাইজান নদী। এতে করে ক্রমাগত ছোট হয়ে আসছে ওই তিনটি গ্রামের জনপদ ও ফসলি জমি। নদীভাঙনের কবলে পড়ে ইতিমধ্যে অন্যত্র চলে গেছে অনেক পরিবার। যারা পূর্ব পুরুষের ভিটে মাটি আঁকড়ে পড়ে রয়েছে তারা রয়েছে আতংক আর উৎকণ্ঠায়। এলাকাবাসী জানায়, চলতি শুকনো মৌসুমে ধাইজান নদীর ভাঙন রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া না হলে নদীগর্ভে বিলীন হবে আরো বহু ঘরবাড়ি ও আবাদি জমি। ভাঙলকবলিত কেশবা যুগিপাড়া গ্রামের শহিদুল, রফিকুল ও বাদশাসহ অনেকে জানান, ভাঙন রোধে একাধিকবার পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তারা জানায়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নদী ভাঙন ঠেকানোর জন্য প্রতি বছর শুধু মাপজোখ ও বাঁশ দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না। এলাকাবাসী জানান, ধাইজান নদীর ওই এলাকায় একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলেই কেবল ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে তিনটি গ্রাম। এদিকে নদীভাঙনের ফলে সদর ইউনিয়নের একাধিক মৌজার আংশিক বিলিন হওয়ায় নদী শাসন, বাঁধ নির্মাণ, সীমানা ও ভোটার পুনর্বিন্যাসের নিমিত্তে কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তা, ভূমি অফিস কর্মকতারা সরেজমিন পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর গত বছর একটি আবেদন করেন। এরপরেও অদ্যাবদি কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ ছাড়া ভাঙন ঠেকানোর জন্য সংসদে স্থানীয় সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরীর দাবীর প্রেক্ষিতে পানিসম্পদমন্ত্রী পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিলেও কোন কাজ হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন