শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সখিপুর বনাঞ্চলের পাশে ফসলি জমিতে ইটভাটা

সখিপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

টাঙ্গাইলের সখিপুরে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভিতর স্থাপিত ৭৫টি অবৈধ করাতকলের পর এবার বনাঞ্চলের পাশে ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে ১৩ টি ইটভাটা। বন আইনে রয়েছে বন এলাকার ১৩কিলোমিটারের মধ্যে কোন ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না এবং এক একরের বেশি ফসলি জমি ব্যবহার করা যাবে না। আইনের কোন তোয়াক্কাই করা হচ্ছে না। অনিয়মই নিয়মে পরিনত হয়েছে। কোন নিয়মই মানা হচ্ছে না। প্রত্যেকটি ইটভাটা বনাঞ্চলের ৩ কি.মি মধ্যে স্থাপিত হয়েছে। এমনকি এক একরের উপরে ফসলি জমি ব্যবহার করা হচ্ছে।এসব ইটভাটায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মূল্যবান কাঠ,কয়লা পুড়ানো হচ্ছে। ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও পরিবেশের বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় জীব,জন্তু বিনাশ থেকে ধরিত্রীকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন দেশে তহবিল গঠন,সভা-সেমিনারের মাধ্যমে বিজ্ঞজনের মতামত নেওয়া হলেও মাঠ পর্যায়ে লক্ষনীয় কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে না। বাশতৈল রেঞ্জের পাথরঘাটা বিটের পাশে ৩টি,নলুয়া বিটের আওতায় বেড়বাড়িতে ৩টি,নাইকানিবাড়ি ৩টি,নাকশালা বাজারের পশ্চিম পাশে ০১টি,বহেড়াতৈল সদর বিটের পাশে ২টি,রতন গঞ্জে ০১টি মোট ১৩টি ইটভাটায় দেদারছে পুড়ানো হচ্ছে বনবিভাগের কাঠ। ইটভাটার কারনে একদিকে বন ধ্বংস হচ্ছে অপরদিকে ফসলি জমির ফসল বিনষ্ট হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তর ও ভ্রাম্যমান আদালত মাঝে মধ্যে জেল জরিমানা করলেও বন্ধ হচ্ছে না ইটভাটা ও অবৈধ করাতকল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইটভাটার ম্যানেজার বলেন,প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই ইটভাটা চালিয়ে যাচ্ছি।
বহেড়াতৈল বিট অফিসার এরশাদ বলেন, আমার বিটের পাশে ইটভাটাটির পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র নেই। ইটভাটার মালিক স্থানীয় এমপি’র আতœীয় দোহাই দিয়ে ভাটায় বনাঞ্চলের কাঠ,কয়লা পোড়াচ্ছে। এবিষয়ে বহেড়াতলী রেঞ্জ অফিসার মো. আতাউল মজিদ বলেন,আইনি জটিলতা ও রাজনৈতিক কারনে ইটভাটা এবং অবৈধ করাতকল উচ্ছেদ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া বনবিভাগ একা কোন পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন