প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে সিলেটের ওসমানীনগরের প্রাচীনতম বিদ্যাপিঠ মঙ্গলচন্ডী নিশি কান্ত মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গন। বিদ্যালয়ের ১৩০ বছর পূর্তি ও পূনর্মিলনী উপলক্ষ্যে ৩ব্যাপী ঝাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে সমবেত হয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ দিন পর একে অপরকে কাছে পেয়ে পুরোনো দিনের স্মৃতি চারণ করতে ব্যস্থ হয়ে উঠেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সিলেট কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য গোলাম শাহী আলম। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সিলেট জেলা পরিষদের চেয়াররম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ড. এনামুল হক সর্দার, ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আনিছুর রহমান, তাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরান রব্বানী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলু, ওসমানীনগর দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি প্রফেসর ছুরাব আলী, আওয়ামীলীগ নেতা আবদাল মিয়া, স্বেচ্চাসেবক লীগ নেতা চঞ্চল পাল, যুক্তরাজ্য স্বেচ্চাসেবকলীগ নেতা অরুনোদয় পাল ঝলক। এছাড়া এলকার জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র বিভিন্ন কর্মসূচী ঘোষণা করেছে অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটি। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেশ-বিদেশে অবস্থানরত প্রায় ২ হাজার প্রাক্তন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে অনুষ্ঠানে। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ঝলক পাল বলেন, এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমিসহ যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনেক প্রাক্তন ছাত্র অংশ নিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের ১৯৬৩ ব্যাচের প্রবিন ছাত্র মহিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, আজ এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দীর্ঘ দিন পর সহপাঠী কয়েক জনের সাথে সাক্ষাত হলো। এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
৮৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সিলেট জেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সুষমা সুলতানা রুহি বলেন, প্রায় দুই যোগ পর ২০-২৫ জন সহপাঠীর সাথে দেখা হল। তাদের পেয়ে আজ ফেলে আসা সেই অতীতে হারিয়ে গিয়েছি।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহবায়ক এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ড. এনামুল হক সর্দার বলেন, এলাকার সর্বস্ত্ররের মানুষের সহযোগীতায় এধরণের অনুষ্ঠান করতে পেরে খুবই ভাল লাগছে। অনুষ্ঠানটি প্রাণের মেলায় পরিণত হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন