ওমেরা গ্যাস ওয়ান লিঃ (ওজিএল) আমাদের পৃষ্ঠপোষক ওমেরা পেট্রোলিয়াম লিঃ ও সাইসান কোং-এর সমর্থনে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সেবা প্রদান, কঠোর মান ব্যবস্থাপনা বজায় রাখা এবং পরিবেশ মান নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। ওমেরা পেট্রোলিয়াম লিঃ (ওপিএল) বিশে^র বৃহত্তম সমন্বিত তেল কোম্পানি এক্সনমবিল কর্পোরেশনের এক মিত্র অংশীদার এমজেএল বাংলাদেশের একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান।
ওপিএল বাংলাদেশের একটি বৃহৎ এলপিজি অপারেটর। প্রাথমিক ভাবে জাপানে মেডিক্যাল গ্যাস সরবরাহকারী হিসেবে কাজ শুরু করা সাইসান কোং লিঃ-এর এলপিজি অপারেশনে ৭০ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। পরে সাইসান এলপিজি সার্ভিসকে গৃহস্থালি, বাণিজ্যিক ও শিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্র, পানীয় জল ও বিদ্যুৎ ক্ষেত্রেও সম্প্রসারিত করে। সাইসান জাপানে অন্যতম প্রধান এলপিজি বিতরণকারী এবং সাফল্যের সাথে এ ব্যবসাকে চীন, মঙ্গোলিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া , কম্বোডিয়া ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ^ব্যাপী সম্প্রসারিত করেছে। বাংলাদেশে জ¦ালানি সংকট রয়েছে
আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য শক্তির প্রধান উৎস হচ্ছে বিদ্যুৎ ও প্রাকৃতিক গ্যাস। জাতীয় গ্রিডে অপর্যাপ্ত সরবরাহ, দুর্বল গ্যাসের চাপ, রেশনিং ও মাঝেধ্যেই লোডশেডিং-এর কারণে আমরা এ দু’টি জ¦ালানির তীব্র ঘাটতির সম্মুখীন। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাস ফুরিয়ে যাচ্ছে । যাহোক, এই পরিষ্কার গ্যাস গৃহস্থালি কাজে না পুড়িয়ে বরং উৎপাদনশীল খাতে একে আমাদের ব্যবহার করা উচিৎ। সরকারের নয়া নীতির প্রেক্ষিতে গেরস্থালি জ¦ালানির চাহিদা এলপিজি ব্যবহার করে মিটানো হবে।
বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে শিল্পগুলোর পক্ষে তাদের স্ব স্ব কারখানাগুলো ঠিকমত চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। লিল্পগুলো যদি ঠিকমত না চলতে পারে তাহলে উচ্চ বেকারত¦ ও মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হবে। যাহোক, সরকারের বলিষ্ঠ নীতি এবং দেশের প্রতিষ্ঠিত জ¦ালানি কোম্পানিগুলোর প্রোঅ্যাক্টিভ বিনিয়োগের সাহায্যে বাংলাদেশ বসবাড়িতে রান্নার জ¦ালানির বলিষ্ঠ বিকল্প হিসেবে এলপিজি (তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস), নন-গ্রিড শিল্পগুলোর জন্য উত্তাপময় জ¦ালানি (হিটিং ফুয়েল) এবং যানবাহনের জন্য অটোগ্যাস ব্যবহার প্রবর্তন ও বৃদ্ধি করে এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে পারে।
এলপিজি প্রাকৃতিক গ্যাসের অনুরূপ একটি জনপ্রিয় জ¦ালানি উৎস। এলপিজি হচ্ছে প্রপেন ও বিউটেন-এর মিশেল যা অন্য সকল খনিজ তেলের চেয়ে সুবিধাজনক। স্বাভাবিক অবস্থায় এলপিজি হচ্ছে গ্যাসীয় বস্তু। কিন্তু প্রায়ই চাপের আওতায় মজুদ করা হলে তা তরলে পরিণত হয়। এর ফলে তা সিলিন্ডারে মজুদ করে পরিবহন করা খুব সহজ হয় এবং বহু অভিনব নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় তা সহজেই প্রয়োগ করা যায় যা অন্য জ¦ালানি উৎসের চেয়ে এলপিজির বহু সুবিধার একটি।
এলপিজির উত্তাপ মান উচ্চ, যার ফলে কম খরচে বাড়ি উষ্ণ রাখবে। এলপিজিতে সালফার থাকে না, সে কারণে অন্য যে কোনো জ¦ালানি উৎস যেমন তেল, কাঠ ও কয়লার চেয়ে অনেক বেশি পরিষ্কার হয়ে পোড়ে। সর্বশেষ, এলপিজি অন্য সকল জ¦ালানি উৎসের চেয়ে পরিবেশ বান্ধব হবে। তা তেল ও কয়লার তুলনায় কম কার্বন ডাই অক্সাইড ছড়াবে। তাছাড়া এটা জ¦ালানি ব্যবহার হয় এমন সকল ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য। নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার মাধ্যমে এর ব্যাপক ব্যবহার ও ভোক্তাদের কাছে এর গুরুত¦ বিশ^্যবাপী একে জনপ্রিয় করেছে।
ওমেরা গ্যাস ওয়ান লিঃ (ওজিএল) ওপিএলের বিপুল মজুদ ও বিতরণ থেকে শক্তি এবং সাইসান কোম্পানি কর্তৃৃক ৭০ বছরের আধুনিক এলপিজি ব্যবসা থেকে অভিজ্ঞতা গ্রহণ করেছে। বসতবাড়ি, শিল্প প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক ভবন, রিয়েল এস্টেট টাউনশিপ, অটো গ্যাস স্টেশনের (স্বয়ং চালিত যানবাহনের জন্য ইউরোপীয় মানের অটো গ্যাস কনভার্সন কিটসহ) জন্য উন্নত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থার মাধ্যমে বিরাট এলপিজি স্থাপনা সমাধান দিতে ওজিএল বিশেষজ্ঞ।
উপরোক্ত বিষয়সহ ওপিএল-এর কৌশলগত স্থানে অবস্থিত এলপিজি স্যাটেলাইট টার্মিনালগুলোর মাধ্যমে ওজিএল বছরের ৩৬৫ দিন আপনার বিশাল এলপিজি প্রয়োজন পূরণে সক্ষম। ওজিএল আপনার শিল্প প্রতিষ্ঠানের জটিল ও বিশদ যন্ত্রপাতি হ্যান্ডলিংয়ে কারিগরি দিক দিয়ে অনেক বেশি উন্নত এবং সপ্তাহের ৭ দিন ২৪ ঘন্টা কাস্টমার সার্ভিস ও নিরাপত্তাকে এক নম্বর অগ্রাধিকার প্রদানের পাশাপাশি কমপ্লায়েন্স বজায় রাখে। ওজিএল ইতোমধ্যেই ফু ওয়াং সিরামিকস, ইউটাহ, এসিআই ফরমুলেশন প্রভৃতিকে এলপিজি সরবরাহ করে গর্ববোধ করছে এবং সারা বাংলাদেশে অটো গ্যাস স্টেশন চালু করেছে।
জ¦ালানি ব্যবসায়ে তরুণ প্রজন্ম
আমাদের দেশের ভবিষ্যত উন্নতির ক্ষেত্রে তরুণ প্রজন্মের ভ‚মিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ভাবনা, সৃজনশীলতা ও কঠোর পরিশ্রম টেকসই পন্থায় জ¦ালানি সংকট দূর করতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। দেশ ও সমাজকে প্রভাবিত করে এমন স্থানীয় সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতাবোধ মূল্যায়নের ক্ষেত্রে হবে আরেকটি গুরুত¦পূর্ণ বিষয়। দেশে প্রভাব ফেলা জ¦ালানি সংকট সম্পর্কে বিশ্লেষণ করতে হবে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ বা এলপিজিতে ক্রস ফিলিং-এর মত আপত্তিকর বা বেআইনি কার্যকলাপ দেখলে তার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে।
বিভিন্ন সংস্থা, সামাজিক মাধ্যম ও অনলাইন পোর্র্টালগুলোসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফরম আমাদের সকলের জন্য কথা বলার বহু সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। আজকের তরুণ মেধাবীদের সামাজিক মাধ্যমের অফ ও অনলাইনে তাদের চিন্তা ও কৌশল প্রকাশের চেষ্টা করা উচিত যে কিভাবে বিভিন্ন পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা যেতে পারে যা বসতবাড়ি ও শিল্প ব্যবসায়ে টেকসই কর্মীবাহিনী সৃষ্টি করতে পারে। তারা বিদ্যমান বাণিজ্যিক ও গ্রামীণ অঞ্চলের জন্য সমস্যাজনক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার জন্য সমাজের মধ্যে সভা বা সমাবেশের আয়োজন করতে পারে। আমাদের ব্যবসা-উদ্যোক্তাদের আগামী প্রজন্মের রয়েছে এই পরিস্থিতি ডিল করার মত ভালো পন্থা লালনের উপায়। তারা যে কোনো কাস্টমাইজড সমাধানের জন্য নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে যা আমাদের দেশের নির্দিষ্ট চাহিদার ক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে। আমাদের সমাজে এ সংক্রান্ত বহু বিষয় রয়েছে।
সর্বশেষ কথা, আজকের উজ্জ্বল হৃদয়ের তরুণরা এক সাথে কাজ করার আহবান ছড়িয়ে দিয়ে এক চমকপ্রদ পরিবর্তন আনতে পারে এবং অদূর ভবিষ্যতে সমাজ ও সমাজের জনগণের উপর তা বিরাট প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা যায়। এই প্রজন্মের সক্ষম জনশক্তির ব্যাপক উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও উদ্দীপনাময় সংশ্লিষ্টতার প্রেক্ষিতে আমরা শুধু ব্যবসার জন্যই নয়- এক উন্নত বাংলাদেশে দৈনন্দিন পারিবারিক জীবনযাত্রায়ও সুন্দর টেকসই পরিবেশ পেতে সক্ষম হব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন