রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

আশাশুনিতে কোল্ড ইন্জুরি ও ঘন কুয়াশায় বীজতলা নষ্ট : কৃষকরা হতাশাগ্রস্ত

| প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আশাশুনি (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা : আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বোরো ধানের বীজতলা ঘন কুয়াশা ও কোল্ড ইঞ্জুরিতে নষ্ট ও বাড়তে বাধা গ্রস্থতার ফলে কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। বছরের শুরুতে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং ধানের মূল্য প্রত্যাশিত হওয়ায় কৃষকরা বোরো ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছিল। এবছর বোরো ধান আবাদের জন্য কৃষি বিভাগ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ৬ হাজার ৫১০ হেক্টর জমি। যার মধ্যে হাইব্রীড জাতের ২ হাজার ৪৪০ হেক্টর ও উপশী জাতের ৪ হাজার ৭০ হেক্টর জমি। গত বছরের তুলনায় এ বছর ৯০ হেক্টর জমি বেশি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্দ্ধারন করা হয়েছে। গত বছর ছিল ৬ হাজার ৪২০ হেক্টর। কৃষকদের চাষাবাদের ধরণ দেখে মনে হচ্ছে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। কিন্তু সম্প্রতি প্রচন্ড শীত ও ঘণ কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে অনেক কৃষক বিপাকে পড়েছেন। অনেক বীজতলায় ইতিমধ্যে পাতা মুড়িয়ে যাচ্ছে। কোন কোন স্থানে পচন ও রোগবালাই দেখা দিয়েছে। পাতা লালসে হয়ে মরে যেতে দেখা যাচ্ছে। নওয়াপাড়া গ্রামের কৃষক ছবেদ আলি গাজী জানান, প্রচন্ড শীত, দিনের বেলায় সুর্যের আলো না পাওয়া ও ঘন কুয়াশার কারণে ধানের পাতা বাড়ছেনা, কুচকে যাচ্ছে। পাতা লালসে হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। আবার অনেকের ক্ষেতে পচন শুরু হয়েছে। কোন কোন ক্ষেতে পাতায় হলদে হওয়া রোগ দেখা দিয়েছে। অনেক চেষ্টা করেও ফল পাওয়া যাচ্ছেনা। উপজেলা কৃষি বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা আঃ গনি ও উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অরবিন্দু কুমার মন্ডল জানান, প্রচন্ড শীত ও ঘন কুয়াশার কবল থেকে বীজতলা ও চারা রক্ষায় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। কৃষি বিভাগ বিশেষ করে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ সার্বক্ষণিকভাবে মাঠে থেকে কৃষকদের নানা পরামর্শ দিয়ে চলেছেন। যাতে বীজতলা বা চারা নষ্ট না হয়। প্রতিশেধক ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহনে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ফলে বীঅজতলা ও পাতার বর্তমান অবস্থা আশা ব্যাঞ্জক। চলতি বছর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে তারা আশা ব্যক্ত করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন