বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

৪৪ বছরেও মসজিদে বিদ্যুতের আলো জ্বলেনি আশাশুনির গ্রামবাসী চরম দুর্গতিতে

প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৯:৩৩ পিএম, ২২ জানুয়ারি, ২০১৮

আশাশুনি (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা : আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের একটি চরম অবহেলিত গ্রামের নাম পুরোহিতপুর। সড়ক যোগাযোগের দুরাবস্থার পাশাপাশি বিদ্যুৎহীনতা গ্রামবাসীকে এখনো অন্ধকার জগতে রেখে দিয়েছে।
ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছ গেছে, পুরোহিতপুর গ্রামের কয়েকটি পরিবারও বিদ্যুতের আলোর স্পর্শ পেয়েছে। কিন্তু গ্রামের প্রায় ৪ শ’ পরিবার এবং প্রাচীন জামে মসজিদ এখনো বিদ্যুতের আলো থেকে বঞ্চিত রয়েছে। ১৯৭৪ সালে পুরোহিতপুর বায়তুল মিরাজ জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠিত। গ্রামবাসী অতিকষ্টে মসজিদটিকে আধুনিক করতে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। আড়াই শতাধিত মুসল্লি মসজিদে জুমা’র নামায আদায় করে থাকেন। গরমের দিনে চরম গরমে কষ্টকরভাবে মুসল্লিরা নামায আদায় করতে বাধ্য হন। তারাবির নামাযের সময় অন্ধকার ও গরমের চাপে রোজাদার মুসল্লিদের নামায আদায়ে নাভিশ্বাস উঠে যায়। বর্ষা ও শীতে আলো আধারিতে খুবই কষ্টকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়। মসজিদ থেকে সামান্য দূরে হারান নাথের বাড়ি পর্যন্ত বিদ্যুৎ লাইন গেছে। মাত্র দু’টি খুঁটি স্থাপন করলে এখানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব। কিন্তু না বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ সেটি করছেন না। ২ বছর আগে গ্রামবাসী ও মসজিদ কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ বিভাগে আবেদন করেন। কিন্তু একটু দেখে যাওয়া ছাড়া কাজের কাজ কিছুই করা হয়নি। বিদ্যুৎ পড়ে থাক সরকারিভাবে গ্রামের অনেক ধনী ব্যক্তি সোলার সিস্টেম পেলেও মসজিদটিকে সে সুযোগ দেয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে মুসল্লিরা ক্ষমতানুযায়ী সামান্য শক্তি সম্পন্ন সোলার স্থাপন করেছেন। যাতে মাইক চালালে লাইট জ্বলেনা। আবার পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবহারও করা যায়না। সরকার যেখানে শত শত সোলার উপজেলায় সরবরাহ করেছেন। এমন কোন গ্রাম নেই যেখানে সোলার পৌঁছেনি। অথচ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ আজও সোলার পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেনি। মুসল্লিদের প্রশ্ন, তাদের মসজিদ যদি সোলার না পায়, তাহলে কাদেরকে দেয়া হচ্ছে সোলার? এছাড়া গ্রামের ৪শ’ পরিবার বিদ্যুৎ প্রাপ্তির প্রত্যাশা নিয়ে বছরের পর বছর বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে, বিদ্যুৎ বিভাগে ধর্ণা দিয়েও প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় পরম মনোঃকষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। তাছাড়া গ্রামবাসী সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার দুরাবস্থায় খুবই কষ্টকর অবস্থায় রয়েছেন। মাননীয় এমপি মহোদয়, জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে অবিলম্বে মসজিদটিসহ গ্রামবাসীর দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন বলে গ্রামবাসী দাবি জানিয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন