রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ব্যাপক ভাঙনের কবলে রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণাকেন্দ্র

| প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) থেকে কবির হোসেন : কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত রাইখালী পাহাড়ী গবেষণাকেন্দ্র এলাকায় দেখা দিয়েছে ব্যাপক ভাঙ্গন। হারিয়ে যাচ্ছে দূর্লভ প্রাজাতির বাগান এবং উদ্ভাবনী কৃষি ফসলাধী। অতিদ্রæত ভাঙ্গনরোধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে দাবি করেন এলাকাবাসী। কাপ্তাই পাহাড়ি গবেষণাকেন্দ্রটি রাইখালী ১৯৫৬সালে স্থাপিত হয়। পরর্বতী ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কেন্দ্র হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয় এবং ৯৬ একর জায়গা জুরে পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রটি অবস্থিত। পাহাড়ী গবেষণা কেন্দ্রটি রাইখালী নামক এলাকায় মনোরম পরিবেশে অবস্থিত।
প্রতিষ্ঠানের পর হতে উক্ত কেন্দ্রটি ৮ ধরণের ফলের জাত এবং ৯ ধরণের সবজির জাত উদ্ভাবিত হয়। এই ফলন দেশের তথা পার্বত্য এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মহিদুল ইসলাম বলেন, গবেষণা কেন্দ্রটির পাশে নারানগিরি ছড়া অবস্থিত হওয়ায় গত তিন/চার বছর ধরে এই ছড়া দিয়ে পাহাড়ী পানি, বর্ষার পানি প্রবাহিত হওয়ার ফলে গবেষণার অফিসে উদ্ভাবীত বিভিন্ন প্রজাতীর দূর্লভ প্রাজাতির ফসল ভাঙ্গানের মুখে বিলিন হয়ে গেছে। ব্যাপক ভাঙ্গনের ফলে উক্ত নারানগিড়ি ছড়াটি নদীর মত প্রসারিত হচ্ছে।
পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ আলতাফ হোসেন এই প্রতিনিধিকে বলেন, দেশের বৃহৎতম পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রটি ভাঙ্গনের কবল থেকে বাঁচিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়বোর্ড পক্ষ থেকে দ্রæত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। তা না হলে দেশের বিভিন্ন প্রাজিত উদ্ভাবিত জাতের ফল ও সবজিসহ হারিয়ে যাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন