স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে : ঢাকার সাভারে ওযার্ড যুবলীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দূবৃত্তরা। এঘটনায় আহত হয়েছে আরেক নেতা। ব্রডব্যন্ড ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবসাকে ঘিরে চাঁদা দাবীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের দত্তপাড়া লেকপাড় এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
রাতেই তাদের সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শুক্রবার সকালে যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর শিকদার মারা যায়। নিহত জাহাঙ্গীর শিকদার (২৭) দত্তপাড়া এলাকার সইমুদ্দিন শিকদারের ছেলে। সে বিরুলিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
আহত ৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেনের (২৮) চিকিৎসা চলছে।
সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহসিনুল কাদির জানান, ইন্টারনেট ব্যবসাকে ঘিরে চাঁদাবাজীর ঘটনায় দূবৃত্তরা তাদের কুপিয়ে আহত করে। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করলে সকালে একজন মারা যায়।
ওসি আরো জানান, এঘটনায় রাতেই একটি মারামারির অভিযোগ দিয়েছিল, এখন সেটি পরিবর্তন করে হত্যা মামলা হবে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের ৪টি দল বিরুলিয়া এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে বলেও ওসি জানান।
সাভার উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সেলিম মন্ডল জানান, ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আখতার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে ইন্টারনেট ব্যবসা করে আসছিল। সেখান থেকে এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী মোশারফ করিম (অপু), মুলামদি মন্ডল, আরিফুল, ফরিদ, সুমন, আলাউদ্দিন চাঁদা দাবী করে আসছিল। চাঁদা না দেয়ায় আখতারের উপর হামলা করে। তখন তাকে রক্ষায় সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহাঙ্গীর মারা যায়।
তবে বিরুলিয়া ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আখতার হোসেন বলেন, দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলো দত্তপাড়া এলাকার সন্ত্রাসী মোশারফ করিম (অপু), মুলামদি মন্ডলসহ তার লোকজন। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় রাতে দত্তপাড়া লেকপাড় এলাকায় আমার উপর হামলা চালায়। তখন আমাকে রক্ষা করতে গিয়ে দুই নেতা আহত হয়। এদের মধ্যে একজন মারা যায়।
তবে বিরুলিয়া ইউনিয়ন চেয়্যারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুর রহমান সুজন বলেন, ইন্টারনেট ব্যবসার দ্বন্দ নিয়ে একজন মারা গেছে শুনেছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন