রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

মঠবাড়িয়ায় বসতবাড়ির পাশে পুড়ছে ইট আমের মুকুলসহ ফলদ বাগানের ক্ষতির আশঙ্কা

| প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামে বসত বাড়ির পাশে স্থাপিত একটি অবৈধ ইটের পাঁজার কারণে আম গাছের মুকুল অঙ্কুুরেই বিনষ্টসহ ফলদ বাগানের ক্ষতি ও পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করেছেন স্থানীয়রা। পার্শ্ববর্তী জানখালী গ্রামের সৌদি প্রবাসীর ছেলে কলেজ ছাত্র মো. কাওসার আহমেদ পাঁজার আগুনে বাগানবাড়ির বনজ গাছ ও পরিবেশ দূষণের আশঙ্কায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেতমোর ইউপির সৌদি প্রবাসী নাসির উদ্দিন গত চার বছর আগে উপজেলা কৃষি দফতরের পরামর্শে কয়েক হাজার টাকা ব্যয় করে বাড়ির আঙিনায় একটি আমের বাগান করে। ওই বাগানের আম গাছে বর্তমানে মুকুল ধরেছে। তার বসত বাড়ির সংলগ্ন খালের অপর পারে সীমান্তবর্তী গোলবুনিয়া গ্রামের আবদুল হকের ছেলে কবির হোসেন অবৈধভাবে পাঁজায় পোড়ানোর জন্য ইট তৈরি করে।
ওই ইটের পাঁজায় আগুনের ধোয়ায় আম গাছের মুকুল ও বনজ বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হবে। আরো জানা যায়, এর আগেও গত দুই-তিন বছর আগে ওই ইটের পাঁজায় অবাধে গাছ পোড়ানোর ফলে ধোঁয়ার আগ্রাসনে তার ফলদ ও বনজ গাছের ক্ষতিসহ পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইটের পাঁজার মালিক মো. কবির হোসেনের কাছে ইট পোড়ার বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউএনও অফিসকে মৌখিকভাবে জানিয়ে ইট পোড়াই। অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন। কেননা, অভিযোগকারীর বাড়ি ইট পোড়ানোর স্থান থেকে অনেক দূরে। তিনি বলেন গত তিন বছর আগে ওই প্রবাসী নাসির উদ্দিন আমার কাছ থেকে বাকি টাকায় ইট নেয়। ওই পাওনা টাকা চাইতে গেলে সে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি এম সরফরাজ বলেছেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন