বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সুন্দরবনে ভ্রমণপিপাসুদের বাড়ছে আনাগোনা

| প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম


কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) থেকে রবিউল ইসলাম : সুন্দরবনভিত্তিক পর্যটন কেন্দ্র আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টারে ভ্রমণপিপাসুদের আগমন শুরু হয়েছে। গাড়ি থেকে নামলেই দেখা মেলে বনের। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কঠোর নিরাপত্তায় শ্যামনগর উপজেলা সাতক্ষীরা রেঞ্জের পশ্চিম সুন্দরবনের মালঞ্চ, কালিন্দী, রায়মঙ্গল, খোলপেটুয়া, বুড়িগোয়ালিনী নদীর তীর ছুঁয়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবন ঘুরে দেখার জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত বোট। বাংলাদেশের সব প্রান্ত থেকে এসে বন দেখতে বেরিয়ে পরতে কোনো সমস্যা নেই। মুন্সীগঞ্জ বন বিভাগের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে যেতে হবে ইঞ্জিনচালিত নৌকার ঘাটে। প্রতি ঘণ্টায় নৌকায় ভাড়া গুণতে হবে নামমাত্র। বড় নৌকার ভাড়া একটু বেশি। নৌকা চলতে শুরু করবে মাঝারি আকৃতির মালঞ্চ নদী দিয়ে। দু’পাশে সবুজের সমারোহ। এ বনে হরিণ, বানর, বনমোরগ প্রভৃতি প্রাণি দেখতে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। নৌকা যখন ঢুকবে ছোট শাখা নদী বা খালগুলোতে তখন কিন্তু অপনার গায়ে কাঁটা দিতে শুরু করবে। এই বুঝি বাঘ এসে পড়ল আপনার গায়ের ওপর। আর গাঢ় সবুজ অন্ধকারের মাঝে শীতল হাওয়া ভয়কে আরো বাড়িয়ে তুলবে। বোটম্যানকে বললে বনের মধ্যে নিরাপদ স্থানে আপনাকে নামিয়ে দেবে। নামার আগে খেয়াল রাখতে হবে কারণ গাছের খাড়া খাড়া শ্বাসমূল পায়ে বিধেঁ যেতে পারে। সুন্দরবনের সুন্দরি, গরান, গেওয়া, কেওড়া, গোলপাতা, খলিসাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ চিনতে আপনাকে সাহায্য করবে বোটম্যান।
নৌকায় চড়ার আগে বেশি করে শুকনা খাবার এবং পানি নিতে ভুলবেন না। তবে বুড়িগোয়ালিনী গিয়ে নৌকা থেকে নেমেও খাবার কিনে নিতে পারবেন সাথে বনবিভাগের পোষা হরিণ, বানর দেখতে পাবেন। বনে ঘোরা যাবে প্রায় ৬-৮ ঘণ্টা। সারাদিন ঘুরে এসে পরদিন আশেপাশের গ্রামে বসবাসরত মৌয়াল, বাওয়াল ও মুন্ডা নামক আদিবাসীদের জীবনযাত্রা একবার দেখে নিতে পারনে। এই এলাকার খাওয়া-দাওয়া কিন্তু সেরে নিতে পারেন। বিশেষ করে এখানে এমন কিছু মাছ পাওয়া যায় যা দেশের অন্য কোথাও পাওয়া যায়না বললেই চলে। মাছগুলো অত্যন্ত সুস্বাদু। তবে পছন্দের খাবারের জন্য একমাত্র ক্যান্টিনে দুপুর এবং রাতের খাবার পাবনে ১০০-১২০ টাকায়। এর সাথে কিছু অতিরিক্ত টাকা যোগ করে চিংড়ি, ভেটকি, ভাঙান, পাসসে, কাইন, বাঁশপাতা, খয়রা, তপস্বে, দাঁতনেসহ বিভিন্ন প্রজাতির নদীর মাছ খাওয়ার সুযোগ তো থাকছেই। তবে হরিণের গোশত না খাওয়াই ভালো। কারণ এটা একবারইে নিষিদ্ধ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন