দেশে সড়ক দুর্ঘটনার হার হ্রাস পেয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের-এর ২০১৪ তে প্রকাশিত ‘রোড ট্রাফিক এক্সিডেন্ট ডেথ রেট বাই কান্ট্রি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী পৃথিবীর ১৭২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৯তম। আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এবং দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর হার পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে কম। এমনকি ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন, থাইল্যান্ড, রাশিয়া, মালয়েশিয়া এবং শ্রীলঙ্কার তুলনায় কম। সংস্থাটির ২০১১ সালের রিপোর্টে বাংলাদেশের স্থান ছিল ৯০তম। এ থেকে বোঝা যায় দেশের সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তোরকালে এমপি হাবিবুর রহমানের (বগুড়া-৫) এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার কমাতে চালকদের মান বাড়াতে, যাত্রী, চালক, মালিক ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে উল্লেখ যোগ্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- এসডিজি-২০৩০ অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ, সড়ক নিরাপত্তা উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ, মহাসড়কগুলোর প্রশস্তকরণ, ২২টি মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ, জাতীয় মহাসড়কে ১২১টি দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান এর প্রতিকারমূলক প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনা, মহাসড়কে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিবেগ ৮০ কিলোমিটার এবং ঢাকাসহ অন্য সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৪০ কিমি নির্ধারণ ও নানাবিধ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
নরসিংদী-২ আসনের এমপি কামরুল আশরাফ খানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পুলিশ বিভাগের সড়ক দুর্ঘটনার তথ্যানুসারে প্রতি ১০ হাজার যানবাহনের মৃত্যুর হার ২০১১ সালে ১৫.১২, ২০১২ সালে ১৩.৭৬, ২০১৩ সালে ৯.৮৮, ২০১৪ সালে ৯.৬৫, ২০১৫ সালে ৯.৬৫ এবং ২০১৬ সালে ৮.৫৫ শতাংশ, যা থেকে বোঝা যায় দেশে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস পেয়েছে। তিনি বলেন, এসডিজি-২০৩০ এবং ইউএস ডিকেড অব একসান ফর রোড সেফটি ২০১১-২০২০’ এর লক্ষ্য অর্জন অর্থাৎ ২০২০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার হার ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনতে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন