শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

অন্ধকারাচ্ছন্ন প্রতীমার ভবিষ্যৎ বাবা প্যারালাইজড, মা ক্যান্সারে আক্রান্ত

সিংড়া (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

কোমলমতি শিশুটির নাম প্রতীমা রানী। প্রতীমার বাবা প্যারালাইসিস ও মা মরণব্যধী ক্যান্সারে আক্রান্ত। প্রতীমা নাটোরের সিংড়া উপজেলার কলম ইউনিয়নের নূরপুর নানার বাড়ি থেকে স্থানীয় নূরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছে। মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে শিক্ষকদের কাছে অতি পরিচিত মুখ প্রতীমা। সংসারে টানাপড়েনের কারণে বন্ধের পথে প্রতীমার পড়াশোনা। প্রতীমা তার লেখাপড়ার জন্য সমাজের বিত্তবানসহ প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

সরেজমিন প্রতীমার নানার বাড়ি কলম ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামে গিয়ে জানা যায়, প্রতীমা তার বাবার দ্বিতীয় পক্ষের একমাত্র সন্তান। তার বাবার প্রথম পক্ষের আরো তিন সন্তান রয়েছে। তিন বোনের মধ্যে একজন বিবাহিত। প্রতীমার বাবা জতীন্দ্র কুমার সরকার। বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার শ্যাওলাতুল গ্রামে। বাবা ধামরাইয়ে প্রথম পক্ষের সন্তানদের সঙ্গে থাকেন। তিনি ধামরাইয়ের ইসলামপুরে সওজ বিভাগে কাজ করতেন। ২০১২ সালে চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সংসার ভালোই চলছিল। কিন্তু প্যারালাইসিস হওয়ার কারণে সংসারের খরচ চালাতে পারেন না তিনি। প্রতীমার মা শ্যামলী রানী সরকার প্রায় দুই বছর আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। কাজকর্ম করতে পারেন না। স্মৃতিশক্তি অনেকটাই লোপ পেয়েছে তার। মাঝেমধ্যে অনেকেই চিনতে পারেন না। প্রতীমার মা মেয়েকে নিয়ে মাঝেমধ্যে বেড়াতে যান তার বাবার কাছে। বাবার অচলাবস্থার কারণে মেয়েকে পড়াশোনার খরচ দিতে পারেন না। বর্তমানে প্রতীমার নানা সন্তোষ কুমার সরকার বৃদ্ধ বয়সে ছাত্র পড়িয়ে সংসার চালানোর পাশাপাশি প্রতীমার পড়াশোনার খরচ চালাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। এ সকল দুঃচিন্তা যেন কুঁড়ে কুঁড়ে বিনাশ করছে প্রতীমাকে। যে বয়সে শুধু লেখাপড়া আর খেলাধুলা করে সময় কাটানোর কথা, সেই বয়সে তার মুখে সব সময়ই কেবল হতাশার ছাপ।
প্রতীমা জানায়, পঞ্চম শ্রেণিতে এ গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়েছি। বর্তমানে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছি। আমার বাবা প্যারালাইসিসের রোগী, মা ক্যান্সারে আক্রান্ত। আমার নানারও অনেক বয়স হয়ে গেছে। তিনি বর্তমানে আমার লেখাপড়ার খরচ চালাচ্ছেন। অর্থের অভাবে প্রাইভেট পড়তে পারি না। আমি জানি না, আমার পড়াশোনা আর কতদিন চালাতে পারব। আমি আরো পড়তে চাই। আমি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে চাই। প্রতীমা তার লেখাপড়ার জন্য সমাজের দানশীল, বিত্তবান ব্যক্তিসহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন