রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সেতুতে অর্ধশত মৌমাছির চাক

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

মৌমাছি মৌমাছি কোথা যাও নাচি নাচি, দাঁড়াও না একবার ভাই, ওই ফুল ফোটে বনে, যাই মধু আহরণে, দাঁড়াবার সময় তো নাই। নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের কবিতার এই মৌমাছিরা প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দল বেঁধে মধু আহরণের জন্য ছুটে যায়। আবার মধু নিয়ে চাকে ফিরে। মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে একটি সেতুর নিচের অংশে অর্ধশত মৌমাছি (চাক) বাসা বেঁধেছে। একসাথে এতগুলো মৌমাছির চাক থাকায় প্রতিদিনই শত শত মানুষ সেতুতে ভিড় করছে দেখার জন্য। হরিরামপুর বলড়া সড়কের পিপুলিয়া নামক স্থানে পাকা সেতুতে অর্ধশত মৌমাছির চাক (বাসা) বেঁধেছে। 

জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর ধরে সারা বছরই মৌমাছির চাক থাকে সেতুটিতে। বছরের অন্য সময় ২০-২৫টি চাক থাকলেও শীতের সময় এর সংখ্যা বেড়ে যায়। চলতি সরিষা মৌসুমে ৫০টি চাক বসেছে হরিরামপুর বলড়া সড়কের পিপুলিয়া নামক সেততুতে। মৌমাছিদের কখনো বিরক্ত করে না এলাকার লোকজন আবার মৌমাছিগুলো কাউকে আক্রমণ করে না।
স্থানীয় বলড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তারেকুর রহমান তারেক জানায়, পিপুলিয়া সেততুতে মৌমাছিরা সারা বছরই বাসা বেঁধে থাকে। এ সেতুর নিচে পানি ও চতুর্দিকে বিভিন্ন শস্য থাকে। আশে পাশে বছরজুড়েই খাবার থাকে বিধায় বেশি পরিমাণে মৌমাছি থাকে। আমরা পরিষদ থেকে নিয়মিত মৌমাছির নিরাপত্তা দেয়ার চেষ্টা করছি, যাতে কেউ মৌচাকের ক্ষতি করতে না পারে।
হরিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জহিরুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হরিরাপুর বলড়া সড়কের পিপুলিয়া নামক ব্রিজে সারা বছরই মৌমাছি থাকে। এখানে মৌমাছির নিরাপদ আশ্রয়স্থল থাকায় এমনটি হয়েছে। মধু ও পানি পর্যাপ্ত থাকায় শীত মৌসুমে মৌমাছির চাকের পরিমাণ বেড়ে যায়। এখানকার মৌমাছিরা মানুষদের আক্রমণ না করায় উৎসুক জনতাও দূরদূরান্ত থেকে এক নজরে দেখার জন্য ভিড় করছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন