একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী আমেজ ছড়াচ্ছে প্রত্যন্ত হাওড় এলাকা কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে। নিকলী-বাজিতপুর উপজেলা নিয়ে ঘঠিত কিশোরগঞ্জের এ আসন। নির্বাচনকে মাথায় রেখে বড় দুই দলের প্রার্থীদের এলাকায় জনসংযোগ, কর্মী সমাবেশ ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিতি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রচার প্রচারনায় নিজেদের উপস্থিতি ধরে রাখতে ব্যস্ত এলাকার জনসম্মুখে। নির্বাচনে প্রার্থীদের সংখ্যাও দীর্ঘতর হচ্ছে। নিকলী উপজেলা রসুলপুর গ্রামের কৃতি সন্তান। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বনির্ভর দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী মো. মাসুক মিয়া সম্প্রতি নিকলীর রসুলপুরে নিজ বাসভবনে নেতা কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন ১/১১ ও আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে আমি বারবার কারা নির্যাতিত হয়েছি। বর্তমানে এসব মামলায় কোটে হাজিরা দিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে বিএনপির বিরুদ্ধে সরকার ষড়যন্ত্র করছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে এবং বিএনপিকে নির্বাচনের বাহিরে রাখতে চায়। বাংলাদেশে আর ৫ জানুয়ারির মত নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। দেশ নেত্রীর বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হলে আমরা ঘরে বসে থাকবো না। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে রাস্তায় নামতে হবে। তার জন্য সকল প্রস্তুতি নিতে হবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় তিনি এলাকার হতদরিদ্র মানুষদেরকে যাকাতের কাপড়, পানির টিউবওয়েল ও গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ করে দেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল যদি আপনাকে মনোনয়ন না দেয় সে ক্ষেত্রে আপনার ভূমিকা কি হবে। এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি ইনকিলাবকে বলেন দল যাকে মনোনয়ন দিবে আমি সর্বশক্তি দিয়ে তার পক্ষে কাজ করে যাবো। নিকলী-বাজিতপুরবাসীর দোয়া নিয়ে আমি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে সুখে দুঃখে এলাকাবাসীর পাশে থাকতে চাই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন