ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাকশালকেও ছাড়িয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, এ আইন আগে যেমন ছিল এখন তার চেয়েও বেশি খারাপ। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী, আগে তো এই আইনে মামলা করতে মন্ত্রণালয়ের অনুমতির প্রয়োজন ছিল কিন্তু এখন পুলিশ চাইলেই মামলা করতে পারবে। পুলিশ চাইলেই বিনা মামলায় বিনা ওয়ারেন্টে যেকাউকে গ্রেফতার করতে পারবে। এটা শুধু কালো আইন নয় বরং কুচকুচে কালো আইনের চেয়েও কালো। একই অনুষ্ঠানে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, প্রথমে সরকার বলেছিল আমরা উন্নয়নের গণতন্ত্র দেবো। তার মানে তারা কখনোই নির্ভেজাল গণতন্ত্র দিতে চায়নি। যখন এই সরকার দেখে এই স্লোগান দিয়ে অনেক বেশি দুর্নীতি হয়ে গেছে তখন নিজের ইমেজ বাঁচাতে ৫২ ধারা করেছিল। এরপর যখন এই আইন বিতর্কিত হয়ে যায় তখন আবার এটার নাম ও সামান্য কিছু বিষয় পরিবর্তন করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়। যা ৫২ ধারা থেকেও ভয়াবহ ও অনিরাপদ।
খালেদা জিয়ার রায় প্রসঙ্গে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, খালেদা জিয়ার রায় নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। কিন্তু এটুকু তো বলবই যে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের জন্য ফ্রি এমন কোনো মাঠ বাংলাদেশে নেই। তাই কোনো অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন বিএনপিকে ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে পারে না। আমি তাকে বলবো শেষ পর্যন্ত যেন এই কথাই থাকে। এটার মধ্যে যেন কোনো দুই নাম্বারি না হয়।
তিনি আরো বলেন, এ আইনে ১৯টি ধারার কথা বলা হয়েছে। যার মধ্যে মাত্র চারটি আইন জামিনযোগ্য বাকি সবকটাই জামিন যোগ্য নয়।
বিশেষ করে সাংবাদিকরা যেসব ধারায় বিপদে পড়তে পারেন এরকম সব ধারা জামিন অযোগ্য। সরকারের লুটপাট, দুর্নীতি, গুম-খুনের বিরুদ্ধে কেউ যেনো অনুসন্ধান রিপোর্ট না করতে পারেন সেজন্যই এ আইন তৈরি করা হয়েছে। এরকম কোনো আইন করে মানুষের মুখ দাবিয়ে রাখা যাবে না।
দলের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন এসএম আকরাম, ড. শাহদীন মালিক, ড. আসিফ নজরুল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন