বিশেষ সংবাদদাতা : হাইকোর্ট মোড়ে বিএনপির মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা ও প্রিজন ভ্যান ভাংচুরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২০০ জনকে গ্রেফফতার করা হয়েছে। দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির উদ্দেশ্যে তারা পুলিশের ওপর এ হামলা চালিয়েছে। এ হামলার সঙ্গে যারাই জড়িত আছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। গতকাল রোববার বিকেলে অমর একুশে গ্রন্থমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে মেলা প্রাঙ্গণে পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, হামলাকারীরা ফিল্ম স্টাইলে পুলিশকে লাথি মারা ও হামলার ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সব ভিডিও ফুটেজ দেখে তদন্ত করে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কমিশনার বলেন, বিচারিক কার্যক্রম নিয়ে কেউ যদি অসন্তুষ্ট হয় তবে সে হাইকোর্টে গিয়ে তা প্রকাশ করতে পারেন। কিন্তু এর জন্য পুলিশের ওপর হামলা ও কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি কোনো ভাবে মেনে নেয়া যায় না। জনগণের নিরাপত্তা ও জান-মালের কোনো ক্ষতি হয় এমন কোনো বিশৃঙ্খল সৃষ্টিকারীকে শক্ত হাতে দমন করা হবে বলেও জানান তিনি। বই মেলার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বই মেলায় ঢুকে এখানকার মালিক, প্রকাশক ও লেখকদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তারা বই মেলার নিরাপত্তা বিষয়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন। এখানে কোনো নিরাপত্তা শঙ্কা নেই। বই মেলায় পুলিশের কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমানে পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ রয়েছে। মেলার নিরাপত্তার জন্য বাংলা একাডেমি ও পুলিশের সমন্বিত একটি কমিটি কাজ করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন