ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, পবিত্র আশুরার তাজিয়া মিছিলে থাকবে কড়া নিরাপত্তা। পুলিশ বেষ্টনীতে মিছিল হবে, তবে মিছিলে ধারালো অস্ত্র, ঢোল, লাঠি ও আগুন খেলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিরাপত্তা তল্লাশি পেরিয়ে আশুরার মিছিলে অংশ নিতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর হোসেনি দালান ইমামবাড়ায় নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
কমিশনার বলেছেন, তাজিয়া মিছিল শুরু হলে সেটাকে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে আনা হবে। মিছিলটা চারপাশ দিয়ে ঘিরে রাখবে পুলিশ যাতে পথে কোনও ব্যক্তি ঢুকতে বা বের হতে না পারে। যে যে রুটে মিছিল হবে সব রোডে পুলিশ ব্যারিকেড থাকবে ও পাহারা থাকবে। গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে। সব অপতৎপরতা বন্ধে আগে থেকেই গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তাজিয়া মিছিলকে কেন্দ্র করে ইমামবাড়ায় দৃঢ় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখনও একটি মিছিল চলছে। প্রত্যেকটি শোভাযাত্রায় নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনও অঘটন ঘটেনি। ১০ মহররমকে ঘিরে বড় ধরনের তাজিয়া মিছিল হবে। সেটাকে নিরাপদ করার জন্য আমাদের কিছু পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ইমামবাড়াগুলোতে আমরা সিসিটিভি, আরচওয়ে লাগিয়েছি। প্রত্যেকটি ইমামবাড়া সিসিটিভির আওতায় থাকবে। এসব ইমামবাড়ায় ঢুকতে হলে প্রত্যেককে আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে ঢুকতে হবে। তার আগে ডগ স্কোয়াড দিয়ে ইমামবাড়াগুলো তল্লাশি করা হবে।
কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে তাজিয়া মিছিল এবং শিয়া স¤প্রদায়ের অনুষ্ঠানগুলোর ভিডিও ও স্থিরচিত্র ধারণ করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ফায়ার সার্ভিস থাকবে। মিছিল যাতে সময় মতো শুরু ও শেষ হয় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শিয়া স¤প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আশুরা ও পূজা একই সময়ে হওয়ায় কিছু বিষয়ে সম্বন্নয় করতে হচ্ছে। এজন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের নিয়ে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। যাতে স¤প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত না হয়।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, মিছিলে সব ধরনের ধাতব বস্ত বহন, জিঞ্জির, দা-ছুরি-তলোয়ার, ঢোল-লাঠিখেলা ও আগুন খেলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পথের মাঝখান থেকে কেউ মিছিলে যোগ দিতে পারবে না। অংশ নিতে হলে তাকে মিছিল শুরুর স্থানে আসতে হবে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তল্লাশির পর মিছিলে অংশ নেওয়া যাবে।
দুই বছর আগে ২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর তাজিয়া মিছিলে প্রস্ততির সময় হোসেনি দালানে হামলার ঘটনা ঘটে। তাই এবার নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে তাজিয়া মিছিলসহ আশুরার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যাপক প্রস্ততি নিয়েছে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, হোসেনি দালান, বিবিকা রওজাসহ রাজধানীর বিভিন্ন ইমামবাড়ায় পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এর বাইরে ধানমন্ডি লেক এলাকায়ও সিসি ক্যামেরা রাখা হয়েছে। ##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন