শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

আদমদীঘিতে তীব্র শীতে মাছের মড়ক

| প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম


আদমদীঘি (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা : দেশের মৎস্যভাÐার খ্যাত বগুড়ার আদমদীঘিতে একদিকে মাছের বাজার মন্দা ও অন্যদিকে শৈত্যপ্রবাহে শীতজনিত ভাইরাস রোগে রেনু পোনা এবং ছোট বড় পাঙ্গাস, কৈ, মাগুর ও তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে যাচ্ছে। ফলে এলাকার মৎস্যচাষি ও ব্যবসায়ীরা লাখ লাখ টাকা লোকশানের মুখে পড়েছেন।
জানা যায়, এবার উপজেলা সদর, সান্তাহর পৌর এলাকা এবং আশপাশসহ দেশের প্রায় সবস্থানে চাষ উপযোগী ছোটপোনা ও বাজারজাত উপযোগী সাইজের মাছের বাজারে দাম কম। এ ছাড়াও গত কয়েক দিনের একটানা শৈত্যপ্রবাহে ঘন কুয়াশা ও প্রচÐ ঠাÐায় উপজেলা সদর ও সান্তাহার পৌর এলাকা এবং আশপাশের পুকুর ও জলাশয়গুলোতে হাজার হাজার টাকার পাঙ্গাস, কৈ, মাগুর, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির পুকুরে চাষের উপযোগী পোনা ও বিভিন্ন সাইজের মাছ মরে যাচ্ছে। কোনো পদ্ধতিতেই এই মাছের মড়ক ঠেকানো যাচ্ছে না এবং মাছের রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে না। গত কয়েকদিনের শৈত্যপ্রবাহে প্রচÐ ঠাÐা পরার কারণে এসব মাছের মড়ক দেখা দেয়। এতে এলাকার হ্যাচারি, মাছচাষি ও ব্যবসায়ীদের হাজার হাজার টাকা মূল্যের মাছ মরে বিনষ্ট হয়েছে। ফলে মাছচাষি ও ব্যবসায়ীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সান্তাহার পৌর এলাকার মৎস্য ব্যাবসায়ী ওলি আমমেদ এবার পাঁচটি পুকুর লিজ নিয়ে মাছচাষ করেন। বাজারে মাছের দাম কমে যাওয়া এং প্রচÐ শীতে মাছ মরে যাওয়ায় এবার পুকুরের জমার টাকা ওঠবে না বলে তিনি জানান। এ ছাড়াও উপরপোঁওতা গ্রামের মিঠু, শাহাজান, ছোট আখিড়া গ্রামের সোলাইনমানও একই কথা বলেন। তারা বলেন এবার পুকুরের জমার টাকা উঠবেনা। এই উপজেলার উৎপাদিত মাছ দিয়ে এই এলাকাসহ উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার অর্ধেক চাহিদা মিটে। এবার প্রচÐ ঠাÐায় লাখ লাখ পাঙ্গাস, কৈ, মাগুর, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে যাওয়ায় আগামীতে মাছ সঙ্কট সৃষ্টি হতে পারে বলে মত প্রকাশ করেছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। আদমদীঘি উপজেলা মৎস্য অফিস জানায়, শীতে ভাইরাসে মাছ মরে যাচ্ছে এমন বিষয় কেউ বলেনি বা জানা নেই তবে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় কোল্ড ইঞ্জুরিতে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে এ সমস্য কেটে যাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন