শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ঘন কুয়াশায় বীজতলা নষ্ট

| প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আশাশুনি (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা : আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বোরো ধানের বীজতলা ঘন কুয়াশা ও কোল্ড ইঞ্জুরিতে নষ্ট ও বাড়তে বাধাগ্রস্ততার ফলে কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
বছরের শুরুতে আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় এবং ধানের মূল্য প্রত্যাশিত হওয়ায় কৃষকরা বোরো ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন। এ বছর বোরো ধান আবাদের জন্য কৃষি বিভাগ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ছয় হাজার ৫১০ হেক্টর জমি। যার মধ্যে হাইব্রীড জাতের দুই হাজার ৪৪০ হেক্টর ও উফশী জাতের চার হাজার ৭০ হেক্টর জমি। গত বছরের তুলনায় এ বছর ৯০ হেক্টর জমি বেশি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর ছিল ছয় হাজার ৪২০ হেক্টর। কৃষকদের চাষাবাদের ধরণ দেখে মনে হচ্ছে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। কিন্তু সম্প্রতি প্রচÐ শীত ও ঘণ কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে অনেক কৃষক বিপাকে পড়েছেন। অনেক বীজতলায় ইতোমধ্যে পাতা মুড়িয়ে যাচ্ছে। কোনো কোনো স্থানে পচন ও রোগবালাই দেখা দিয়েছে। পাতা লালসে হয়ে মরে যেতে দেখা যাচ্ছে। নওয়াপাড়া গ্রামের কৃষক ছবেদ আলি গাজী জানান, প্রচÐ শীত, দিনের বেলায় সুর্যের আলো না পাওয়া ও ঘন কুয়াশার কারণে ধানের পাতা বাড়ছে না, কুচকে যাচ্ছে। পাতা লালচে হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। আবার অনেকের ক্ষেতে পচন শুরু হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেতে পাতায় হলদে রোগ দেখা দিয়েছে। অনেক চেষ্টা করেও ফল পাওয়া যাচ্ছে না। উপজেলা কৃষি বিভাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আ. গণি ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অরবিন্দু কুমার মÐল জানান, প্রচÐ শীত ও ঘন কুয়াশার কবল থেকে বীজতলা ও চারা রক্ষায় কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। কৃষি বিভাগ বিশেষ করে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ সার্বক্ষণিকভাবে মাঠে থেকে কৃষকদের নানা পরামর্শ দিয়ে চলেছেন। যাতে বীজতলা বা চারা নষ্ট না হয়। প্রতিষেধক ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ফলে বীজতলা ও পাতার বর্তমান অবস্থা আশাব্যঞ্জক। চলতি বছর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে তারা আশা ব্যক্ত করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন