রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

নেত্রকোনায় হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদÐ ২ জনের যাবজ্জীবন

| প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা : নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের রূপচন্দ্রপুর গ্রামের চাঞ্চল্যকর কৃষক আব্দুল লতিফকে (৪৫) হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদÐ তৎসহ ২০ হাজার টাকা অর্থদÐ, দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদÐ তৎসহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদÐ, তিনজনকে এক বছরের কারাদÐ তৎসহ ২০ হাজার টাকা অর্থদÐ এবং অপর তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। নেত্রকোনার জেলা ও দায়রা জজ কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা গতকাল সোমবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
মৃত্যুদÐপ্রাপ্ত আসামি হলোÑ রূপচন্দ্রপুর গ্রামের সুলতু খাঁর পুত্র নূরুল আমীন খাঁ (২৬), যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামিরা হলোÑ সুলতু খাঁর পুত্র আলআমীন খাঁ (২৯) ও আব্দুল হামিদ খাঁর পুত্র তৌফিক খাঁ (২৭), এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলোÑ মৃত আরফান আলী খাঁর পুত্র সুলতু খাঁ (৫৬), আব্দুল হামিদ খাঁর পুত্র কাজল খাঁ (২৪), মৃত মোবারক আলীর পুত্র তাজুল ইসলাম (৪৮), বেকসুর খালাস প্রাপ্ত আসামিরা হলোÑ আনিছুর রহমান চৌধুরীর পুত্র অলী চৌধুরী (৩০), মৃত ইজ্জত আলীর পুত্র নূর আহম্মদ ওরফে নূর মোহাম্মদ (৩৮) ও আনিছুর রহমান চৌধুরীর পুত্র সবুজ চৌধুরী (৩৮)।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে প্রকাশ, রূপচন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফের সাথে সেলু মেশিনের সেচ দেয়াকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের নুরুল আমীন খাঁ গংদের বিরোধ চলে আসছিল। বিগত ২০১৩ সালের ১৬ জুন সন্ধ্যা ৬টার দিকে কৃষক আব্দুল লতিফ তার অসুস্থ বড় ছেলে শরীফকে নিয়ে পাশ্ববর্তী কোনাপাড়া বাজারে যাওয়ার পথে কোনাপাড়া চৌরাস্তা মোড়ে পৌঁছতেই উল্লিখিত আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। স্থানীয় লোকজন তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শেফালী বেগম বাদী হয়ে নূরুল আমীন খাঁসহ ৯ জনকে আসামি করে ১৯ জুন আটপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর আহমদসহ তিন আসামিকে বাদ দিয়ে আদালতে চাজশিট দাখিল করে। বাদী পক্ষ নারাজি দিলে আদালত সিআইডিকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। সিআইডি তদন্তপূর্বক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর আহম্মদকে বাদ দিয়ে ২০১৪ সালের ১৭ মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বাদী পক্ষ পূনরায় নারাজি দিলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি সকল আসামির বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় প্রতিবেদন দাখিলের পর বিজ্ঞ বিচারক তা আমলে নিয়ে ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণান্তে ছয় আসামির বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণীত হওয়ায় উপরোক্ত রায় প্রদান করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত পিপি অ্যাডভোকেট সাইফুল আলম প্রদ্বীপ, আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খান।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন