শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ব্যস্ত দিন কাটাচ্ছেন আমচাষিরা

মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে কালিগঞ্জের আমবাগানগুলো

| প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) থেকে রবিউল ইসলাম : গাছে গাছে আমের মুকুলে ভরে গেছে। মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে আমবাগানগুলো। বাগানগুলোতে মধু সংগ্রহে মৌমাছিদেরও ছোটাছুটি শুরু হয়েছে, গুন গুন গানের শব্দে ছোটা ছুটি হই-হুলোড়। সেই সাথে আমচাষিরদের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। বাগানের মালিকরা আমগাছে ওষুধ স্প্রে শুরু করে দিয়েছেন। বিভিন্ন ধরনের তদারকিতে তাদের ব্যস্ততাও বেড়ে যাচ্ছে দিন দিন। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ফালগুন মাসেই প্রতিটি গাছেই পুরোপুরি মুকুল ফুটে ছেয়ে যাবে। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন তারা। আমচাষিরা এলাকার চাহিদা পূরণ করে দেশের অন্য অন্য জেলাতেই তারা সরবরাহ করেন, যার কারণে দিন দিন আম চাষের লক্ষমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাহিদা বৃদ্ধির সাথে আমের বাগানও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কালিগঞ্জ উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সব জাতের আমেরই চাষ হচ্ছে। আমচাষ লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছর কৃষিজমিতে নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে আমের বাগান। আমচাষি গাজী আনছার হোসেন জানান, কয়েক সপ্তাহ থেকে ধীরে ধীরে আমগাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে এবার গাছগুলোতে মুকুলের সমারোহ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। আমচাষি রমজান আলী জানান, বাগানের নিয়মিত যতœ নিলে ভালো ফলন পাবো বলে আমরা আশা করছি। কালিগঞ্জ উপজেলার সীমান্ত এলাকা রতনপুর গ্রামের আম ক্রেতা আরিফুল ইসলাম জানান, মুকুল আসার আগেই তিনি আমবাগান অগ্রীম কিনে নেন। এবার দু-একটি বাগান ছাড়া প্রতিটি বাগানেই মুকুল আসতে শুরু করেছে । কৃষি কর্মকর্তা অসিত কুমার জানান, মূলত তিনটি পর্যায়ে আমের মুকুল আসে। যার প্রথম পর্যায় শুরু হয়েছে। পুরনো জাতের গাছগুলোতে মুকুল ধরেছে। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে চলতি মাসের শেষের দিক পর্যন্ত সব গাছে মুকুল দেখা যাবে। এই উপজেলায় কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। এসব বাগানে হিমসাগর, লেংড়া, বোম্বাই, তিলি বোম্বাই, গোপালভোগ, ক্ষিরশাপাতি, রাজশাহীর ফজলি, ইত্যাদি জাতের আম বেশি চাষ হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন