শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

আ.লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ কোটালীপাড়ায় মিছিলে হামলায় আহত ১০

প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় কুশলা ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মিছিলে হামলার ঘটনায় আ.লীগ মনোনীত ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। কুশলা ইউপির বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী চৌধুরী সুলতান মাহামুদ কালু অভিযোগ করেছেন, আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী কামরুল হাসান বাদল ও তার লোকজন আমার নির্বাচনী কাজে বাধা দিচ্ছে। আমার পোস্টার ছিড়ে ফেলছে। পুলিশের কাছে মিথ্যে অভিযোগ করে আমার সমর্থকদের হয়রানি করছে। রাতে আমার সমর্থকরা বাড়ি থাকতে পারছে না। গত শনিবার আমার প্রচার মাইক বের করলে বাদলের লোকজন মাইক ছিনয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনার প্রতিবাদে আমি ও আমার সমর্থকরা সন্ধ্যায় মিছিল বের করলে বদল লোকজন নিয়ে মিছিলে অতর্কিতে হামলা করে। এতে আমি সহ আমার দলের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষের সমর্থন নিয়ে আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমিই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হব। আমার জনপ্রিয়তা দেখে নিশ্চিত পরাজয় জেনে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী বাদল আমার নির্বাচনী কাজে একের পর এক বাধা দিয়ে চলেছে। আ.লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুল ইসলাম বাদল পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী চৌধুরী সুলতান মাহামুদ কালু ও তার সমর্থকরা আমাদের দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত নির্বাচনী ব্যানারে আগুন দেয়। এ নিয়ে আমার সমর্থকদের সঙ্গে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে কালু ও তার সমর্থকরা আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার ৭ জন সমর্থক আহত হয়। আমরা কালুর সমর্থকদের ওপর হামলা করিনি। তার নির্বাচনী কাজে বাধা দেইনি। কোটালীপাড়া আ.লীগের ঘাঁটি। এখানে আমি নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবো। কালু আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করেছে। আমার ব্যানারে আগুন দেয়ার ঘটনায় আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। গত শনিবার সন্ধ্যায় কুশলা ইউনিয়নের জামুলা খান মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কোটালীপাড়া থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুল ইসলাম বাদলের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু চৌধুরী সুলতান মাহামুদ কালু এখনো কোন অভিযোগ করেননি। তদন্ত করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন