মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ব্রিজ নদীতে, পারাপারে সীমাহীন দুর্ভোগ

প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এস.কে সাত্তার, ঝিনাইগাতী (শেরপুর)

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য! কাঠের সাঁকোতে উঠতে হয় ব্রিজে দিয়ে। এ অবস্থা আজ-কাল থেকে নয়। কমপক্ষে ১০-১২ বছর থেকে। ওই সময় বন্যায় ব্রিজটির এপ্রোচ রোডের মাটি পাহাড়ী ঢলের তোড়ে ভেসে যাওয়ার পর থেকেই আজোবধি চলছে এ অবস্থা। সংযোগ সড়কের সাথে যোগ করে বানানো হয়েছে কাঠের সাঁকো। আর সেই কাঠের সাঁকোতেই উঠতে হয় ব্রিজে। এভাবে যাতায়াত করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার সুরিহারাÑবালিয়াগাঁও রাস্তায়’ পাইকুড়া-কাটাখালী ব্রিজের’ এপ্রোচ রোড না থাকায় এ রাস্তায় চলাচলকারী কমপক্ষে ১৫ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ এখন চরমে। জানা যায়, এ ব্রিজটির এপ্রোচরোড পাহাড়ী ঢলের তোড়ে ভেঙে যাওয়ার পর এলাকার লোকজন নিজেদের উদ্যোগে ব্রিজের সাথে কাঠের সাঁকো বসিয়ে কোনরকমে পারাপার হতে পারলেও যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে কমপক্ষে ১৫ গ্রামের মানুষকে ৩/৪ কিলো রাস্তা ঘুরে মালামাল পরিবহণ করতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে সালধা, পাইকুড়া, বাইলেগাঁও, জড়াকুড়া, কান্দুলী, কুচনীপাড়া, ভবানীখিলা, কালিনগর, দড়িকালিনগরসহ কমপক্ষে ১৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তাছাড়া এসব গ্রামের সহ¯্রাধিক স্কুল/কলেজ ও মাদ্রাসা পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীদের এই ভাঙ্গা ব্রিজের ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। তাছাড়া পার্শ্ববর্তী রাস্তাটির পশ্চিম পার্শ্বের একটি বাড়িও এখন মারাত্ম¡ক হুমকির মুখে। বলতে গেলে অনেকটা ধসেই পড়েছে। মোট কথা, ব্রিজটির দুই প্রান্তে আনুমানিক ৩-৪শ’ মিটার কাঁচা রাস্ত না থাকায় বহুদিন যাবত ব্রিজটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ঝিনাইগাতী উপজেলার সরেয়ার্দী দুদু মন্ডল এবং জড়াকুড়া গ্রামের অব: সেনা সার্জেন্ট আনোয়ার হোসেন মুকুল বলেন, ব্রিজটির দুই পার্শ্বে মাটি দিয়ে সংযোগ সড়কটি তৈরি করা হলেই কমপক্ষে ১৫ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করতে পারবে নির্বিঘেœ। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘণ্ট বাঁধে কে? জনপ্রতিনিধিদেরতো এ দিকে কোন খেয়াল আছে বলে মনে হচ্ছে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন