সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ফুটবল খেলা নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক

প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বালাগঞ্জ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা

সিলেটের ওসমানীনগর ও বিশ্বনাথে আবারও দফায় দফায় সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। ঘটনাটি গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় ওসমানীনগর উপজেলার খাইয়া-খাইড় বাজারে বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর উপজেলাবাসীর মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে চলে। এসময় ওসমানীনগর ও বিশ্বনাথ থানা পুলিশ ৩ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ৪০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি নিক্ষেপ করে। পরে বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। জানা যায়, বিশ্বনাথের আবু আল রশিদ ৪র্থ ফুটবল টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা গত রোববার বিকেলে সোনালী সংঘ দক্ষিণ বিশ্বনাথ ও পশ্চিম খাইয়া-খাইড় ফুটবল একাদশ ওসমানীনগরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। সোনালী সংঘ টাইব্রেকারে ৩-০ গোলে ওসমানীনগরকে পরাজিত করে। এসময় বিশ্বনাথের সোনালী সংঘের পক্ষে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। এতে ওসমানীনগরের ফুটবল টিমের এক সদস্য মিছিল না করার জন্য নিষেধ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটিটি হয়। এরই সূত্র ধরে গত রোববার দুই উপজেলাবাসীর লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে দুই উপজেলার কমপক্ষে অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হন। এরই প্রতিবাদে বিশ্বনাথবাসীর ব্যানারে গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় খাইয়া-খাইড় বাজারে প্রতিবাদ সভার আহ্বানের ডাক দেয়। সোমবার একই সময়ে ওসমানীনগরবাসীর ব্যানারে পশ্চিম খাইয়া-খাইড় এলাকা পাল্টা প্রতিবাদ সভা করে। উভয় পক্ষের প্রতিবাদ সভা চলে। হঠাৎ একে অপরকে উদ্দেশ করে উত্তেজনামূলক কথাবার্তা বলে। এরই মধ্যে উভয় উপজেলাবাসীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয় ও একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে বালাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আবদাল মিয়া ও বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আপোষ-মীমাংসার চেষ্টা চলছে। সংঘর্ষের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার ওসি আবদুল হাই বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন