শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

নিলক্ষারচরে আ.লীগের ২ বাহিনী সমঝোতা হয়নি

| প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম


নরসিংদী থেকে সরকার আদম আলী: রায়পুরার নিলক্ষারচরের লাঠিয়াল সর্দারদের মধ্যে কোনক্রমেই সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। লাঠিয়াল বাহিনী দমনে রায়পুরা থানা পুলিশ যেমন কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারছে না। তেমনি চার চারটি সালিশ দরবার করেও রায়পুরার এমপি, সাবেক মন্ত্রী রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু আওয়ামীলীগের দুই লাঠিয়াল বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না। গত রবিবার নিলক্ষারচরে শান্তি ও সমঝোতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সর্বশেষ সালিশ দরবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেছেন, রায়পুরার এমপি রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু। এই দরবারেও কোন ফলপ্রসূ আলোচনা হয়নি। সমঝোতা হয়নি দুই লাঠিয়াল বাহিনীর সর্দারদের মধ্যে। স্থানীয় শব্দর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত এই সালিশ দরবারে দুই পক্ষের লাঠিয়াল সর্দারের দরবারে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তার লাঠিয়াল বাহিনীর সর্দার সুমেদ আলী, জাকির হোসেন, রেজন, মোতালিব মেম্বার, ইসমাইল ও রহিমকে দরবারে দেখা যায়নি। পক্ষান্তরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল হক সরকার ও তার লাঠিয়াল বাহিনীর সর্দার লাঠিয়াল সর্দারদের মধ্যে শহীদ মেম্বার, আলাল, হোসেন আলী, নোয়াব আলী, তাইজুল গং দরবারে উপস্থিত ছিলেন। তবে দরবারে বক্তব্য দিয়েছেন রায়পুরা মেয়র জামাল উদ্দিন মোল্লা, ওসি দেলোয়ার হোসেন, কল্পনা রাজি উদ্দিন, মির্জানগর ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির, যুবলীগ নেতা ইমান আলী ভূঁইয়া। দরবারে বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের লাঠিয়াল সর্দারদের অনুপস্থিতির বিষয়টি আলোচনায় আসলেও দরবারে বিষয়টি রহস্যজনক কারণে গুরুত্ব পায়নি। জানা গেছে, রায়পুরার নিলক্ষারচরে আওয়ামী লীগের ২ লাঠিয়াল বাহিনীর মধ্যে সৃষ্ট টেঁটা ও বন্দুক যুদ্ধে উভয় পক্ষে কমবেশী ৯ টি হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। আহত হয় এলাকার কয়েক শত মানুষ। কয়েকশ বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। লুণ্ঠিত হয় কমবেশী ১০০ কোটি টাকার সম্পদ। এসব ঘটনা নিয়ে স্থানীয় এমপি ও সাবেক মন্ত্রী রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজুর নেতৃত্ব ও সভাপতিত্বে ইতোপূর্বে ৩ টি সালিশ দরবার অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু কোন দরবারেই রহস্যজনক কারণে উভয় পক্ষের গ্রহণযোগ্য কোন সমাধান বেরিয়ে আসেনি। দরবারগুলোতে উভয় পক্ষকে কয়েক লক্ষ টাকা করে জরিমানা করা হয়। যার যার খরচে থানা থেকে মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। উভয় পক্ষের লাঠিয়াল ও সমর্থকদেরকে নিজ নিজ বাড়িতে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থানের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু কোন দরবারের সিদ্ধান্তই বাস্তবায়িত হয়নি। এলাকা ছাড়া এক পক্ষের লাঠিয়াল ও সমর্থকরা প্রতিপক্ষের বাধার মুখে এলাকায় যেতে পারেনি। যার ফলে নিলক্ষারচরের ২ লাঠিয়াল বাহিনীর মধ্যে বিরোধ জিইয়ে থাকে।
দরবারের সভাপতি এমপি রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু উভয় পক্ষকে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার আহবান জানিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে সেখান থেকে চলে আসেন। এদিকে সালিশ দরবার শেষ হতে না হতেই ফেসবুকে মন্তব্য করা হয়েছে, ‘এই সালিশ দরবারও অতীতের দরবাগুলোর মতোই ব্যর্থতায় পর্যবষিত হবে’।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন