বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

এবার সড়কের মাটি ইটভাটায়

| প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে নুরুল আবছার চেীধুরী : এতদিন জেনেছি টফসয়েল কিংবা জমির উর্বর মাটি পুড়িয়ে ইট বানানো হয়। এবার দেখছি সড়কের মাটি ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নের হাকিমনগর ঠান্ডাছড়ি-শিয়ালবুক্কা মুল সড়কের মাটি কেটে লাকী ব্রিকস ওয়ার্কস (এল.বি.ডবিøউ) ইটভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে। ২০ ফুট গভীরভাবে মাটি স্কেভেটর দিয়ে খনন করে কেটে নেয়াতে সড়কে হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বর্ষা মৌসুমে মুল সড়কটি সম্পূর্ণ বিলীন হওয়ার আশংকা করছে এলাকাবাসী।
জানা যায়, উপজেলার পারুয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের হাকিমনগর ঠান্ডাছড়ি-শিয়ালবুক্কা চলাচলের একমাত্র সড়ক। চৌকিদারপাড়া, বড়–য়াপাড়া, টেকনাফ পাড়া, শিয়ালবুক্কা পাড়াসহ পারুয়া ইউনিয়নের প্রায় দুই হাজার মানুষ বসবাস করেন। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজ করে। কৃষক মো. বাবুল আকতার জানান, উৎপাদিত কৃষি পণ্য ঠান্ডাছড়ি-শিয়ালবুক্কা তিন কি.মি. সড়ক হয়ে রানীরহাট, সুগারমিল ও রাউজানে সরবরাহ করে থাকেন। গ্রামের লোকজন খুবই অসহায় ও সহজসরল।
মুল সড়কটি স্কেভেটর দিয়ে মাটি খনন করা হলেও জমি ও ইটভাটার মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় প্রশাসনের নিকট কোন অভিযোগ করতে পারছেনা তাঁরা। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ মুল সড়কটি কেটে ফেলা হলেও স্ব-চোক্ষে দেখেও নির্বাক। পাহাড়ি দূর্গম এলাকায় নিজস্ব কোন স্কুল নেই। প্রায় ২০০ ছাত্র-ছাত্রী তিন কি:মি: পায়ে হেঁটে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কের পাশে পারুয়া হাকিমনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তে আসে।
চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের ইছামতি রেঞ্জের আওতাধীন হাকিমনগরে সরকারী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পাশে গড়ে উঠা লাকী ব্রিকস ওয়ার্কস নামের ইটভাটায় ঠান্ডাছড়ি-শিয়ালবুক্কা মুল সড়কের ফসলি মাটি কেটে নেয়াতে চলাচলে বিঘœ ঘটছে বলে একাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা জানিয়েছেন। হাকিমনগর গ্রামের কৃষক খায়ের আহমদ বলেন, জনৈক জাফরের কাছ থেকে ৪০ শতক জমি খাজনা নিয়ে শিম চাষ করছেন। জনৈক একজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে এল.বি.ডবিøউ ইটভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে। মাটি কাটার ফলে স্থানীয় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। জমির মালিক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন বক্তব্য দেননি। ইটভাটায় যোগযোগ করা হলেও মালিকপক্ষের কোন রখম বক্তব্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন এবং বার বার বক্তব্য নেওয়ার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, পত্রিকায় আজকাল সংবাদ প্রকাশ হলে কিছু হয় না বরং প্রশাসন তদন্তে আসলে তাদেরকে কিছু উপরিদিলে ধন্যবাদ দিয়ে আগামী বছর দেখা হবে প্রস্থান করেন। এল,বি,ডবিøউ জৈনিক ব্রিকস এর মালিকের জৈষ্ঠপুত্র হাঁসি মুখে বলেন, দুর্নীতিবাজদের ঘুষ প্রদান করে এসব অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছি, আপনারা আমরা সবাই জানি কাজি গরু ঘোয়ালে নেই কিতাবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন