পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা
আগামী ৩১ মার্চ দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বোদা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাকি ৪টি ইউনিয়নে বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী ভোটার হতে না পারায় নির্বাচন স্থগিত করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। সরেজমিন নির্বাচনী এলাকা ঘুরে সাধারণ ভোটারদের কাছ থেকে জানা যায়, তারা প্রতীক নয়, ব্যক্তিকে দেখে ভোট দেবে। জানা গেছে, ১নং ঝইশালিশার ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১০ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে আ.লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হোসেনের সঙ্গে হাডাহাড্ডি লড়াই হবে বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী মোঃ সফিকুল আলমের সঙ্গে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মোটরসাইকেল মার্কায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মো. তহিদুল ইসলাম। ৩ নং বেংহারী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১২ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে আ.লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী মোঃ আবুল কালাম আজাদ আবুর সঙ্গে ত্রিমুখী লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোটরসাইকেল মার্কার সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ লুৎফর রহমান এবং বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী মোঃ আলতাফ আলীর সঙ্গে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির লাঙ্গল মার্কায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আবুল হাসান, আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া মাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নজমুল হক। ৭নং চন্দনবাড়ি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১১ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এখানে বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের (মোটরসাইকেল) সঙ্গে বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে। এখানে আ.লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী মোঃ মনিরুল কাদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন বলে অনেকে ধারণা করছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাবেক ইউপি সদস্য তোরাব আলী ফুলফুল খান লাঙ্গল মার্কায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী অটোরিকশা মার্কায় মহানন্দ্ব কুমার রায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ৮নং বোদা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১১ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এ ইউনিয়নে আ.লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী মশিউর রহমান মানিক এবং বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী মোঃ দেলোয়ার হোসেন সাঈদের চেয়ে এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আবু বক্কর ছিদ্দিক মহব্বত (মোটরসাইকেল) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক ইউপি সদস্য আনারস মার্কায় মোঃ দেলোয়ার হোসেন প্রধান। এ দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে বলে সাধারণ ভোটারদের ধারণা। ৯নং সাকোয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এখানে আ.লীগের নৌকা মার্কার বর্তমান চেয়ারম্যান প্রার্থী সায়েদ জাহাঙ্গীর হাসান সবুজের সঙ্গে চতুর্মুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া মার্কায় মোঃ মোজাফর রহমান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা মার্কার মোঃ রাজিউর রহমান প্রধান এবং কমিউনিস্ট পার্টির কাস্তে মার্কার প্রার্থী দীপক কুমার দেব বাবলুর লড়াই হবে। তবে বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী বেনজীর হাবিব আল আলম (তপন মাহমুদ) এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রার্থী প্রমোদ রঞ্জন বর্মণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস মার্কায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাজীব কুমার বকসী। ১০ নং পাচাপীর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৮ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ খায়রুল আলম খানের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া মার্কার হুমায়ুন করিব প্রধানের। বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী হাবিবুল আলম মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হাছিনুজ্জামান চৌধুরী আনারস মাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন