বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

নবাবগঞ্জে আম ও লিচুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

 উত্তর জনপদের উন্নতমানের আম ও লিচু উৎপাদনের উর্বর সম্ভাবনাময় বাগানগুলোতে চলছে নিবিড় পরিচর্যা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেলে এ বছর দিনাজপুর শহরে লিচু আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের পরে নবাবগঞ্জ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নে হতে পারে বাম্পার ফলন। দেশের তৃতীয় মাহমুদপুর ফল সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মো. জিল্লুর রহমান জানান, এ বছর আম ও লিচুর বাগানে এত বেশি পরিমাণ মুকুল দেখা দিয়েছে, যা ৫০ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। মৌসুম ভিত্তিক আম ও লিচু চাষ করে উপজেলার শতাধিক বেকার শিক্ষিত যুবক দারিদ্র্যতার নির্মম কষাঘাতকে পেছনে ঠেলে স্বাবলম্বী হয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দফতর সূত্রে জানা গেছে, জেলার সবচেয়ে আম চাষে উপযুক্ত ও নির্ভরযোগ্য এলাকা মাহমুদপুর ইউনিয়ন। ওই ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামেই কৃষি জমিতে ধান, গম, সরিষা, আলুর সাথে সাথীফসল হিসেবে উন্নতমানের হাড়িভাঙ্গা, আম্রপালি, খিস্যাপাতি আম চাষ করে নিজ এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ বিদেশে রফতানি করার প্রস্তুতি নিয়েছেন ফলচাষিরা। মাহমুদপুর ফল সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, এ এলাকার উন্নত জাতের আম ও লিচুর গুণগত মান ও বিদেশে রফতানি করতে উপজেলা কৃষি অফিস ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে হলাইজানা ফাজিল মাদরাসায় আম ও লিচুচাষিদের নিয়ে যুগোপযোগী ও মানসম্মত আম ও লিচুর উৎপাদনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আম গবেষণা কেন্দ্র থেকে গবেষকদের নিয়ে এসে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। যার কারণে বর্তমানে বাগানে গাছগুলোতে এসেছে প্রচুর মুকুল। মুকুলগুলো ফল দেয়ার উপযোগী করে গড়ে তুলতে সার্বক্ষণিক গবেষকদের দেয়া প্রশিক্ষণ অনুযায়ী চলছে নিবিড় পরিচর্যা। ফলচাষি আইয়ুব আলী জানান, আমগুলো পরিপক্ব হলে বাগানে বাগানে চলবে ব্যাগিং পদ্ধতি। এ পদ্ধতি অনুসরণ করা হলে আমের সৌন্দর্য ও বিদেশে রফতানি করতে সহজ হবে। এ বছরে বিদেশে ব্যাগিং করা আম রফতানি করতে তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। উপজেলার ৩ নং গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের পতিœত্নীচান, রঘুনাথপুর এলাকার সফল ফলচাষি মো. রফিকুল ইসলাম ও আম ও থাই পেয়ারাচাষি জহুরুল ইসলাম জানান, প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুক‚লে থাকলেই বাগানগুলো থেকে আম ও লিচুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। বাগানের ফল সংগ্রহের সময় এলে বিভিন্ন জেলাসহ খোদ রাজধানী থেকে পাইকাররা বাগান থেকে ফল ঢাকায় নিয়ে যান। এতে করে তাদের উৎপাদিত ফলের ন্যায্য মূল্য পেয়ে থাকেন। গত বছর নবাবগঞ্জ উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বজলুর রশীদ উন্নত জাতের আম উৎপাদনে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ফলের গুণাগুণ ও উৎপাদন কৌশল বিষয়ে বড় সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু রেজা আসাদুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বাগানগুলোর পরিচর্যার জন্য চাষিদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন ইউনিয়ন পর্যায়ে দায়িত্বে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন