সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা : সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের উদাসীনতায় বিকল্প রাস্তা না করে পুরাতন ব্রিজ ভেঙে মেরামত করতে গিয়ে জনদুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রতিদিনই দুর্ঘটনা কবলিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ, বেকার হয়ে পড়েছে শত শত সিএনজি অটোরিকশা চালক। যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় দেওটি ইউপির বিভিন্ন বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামও অধিক হারে বেড়ে গেছে। এসব দেখার যেন কেউ নেই! স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার (সাবেক সোনাইমুড়ী-কড়িহাটি সড়ক) বর্তমানে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন সড়কের মধ্যবর্তী গজারিয়া ব্রিজটি ঝরাজীর্ণ হওয়ায় উপজেলার এলজিইডি পুনঃমেরামতের জন্য দরপত্র আহ্বান করায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পেয়ে বিকল্প রাস্তা না করে ব্রিজ ভাঙা শুরু করে। কাজও চলছে শম্বুক গতিতে, এতে করে রাতে চলাচলকারী অনেক যানবাহন প্রথম দিনেই দুর্ঘটনা কবলিত হয়। অনেক পথচারী ভাঙা ব্রিজ দিয়ে হাঁটতে গিয়ে রডের ফাকে পা আটকে আহত হয়েছে। যোগাযোগ বিছিন্ন হওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছে শতাধিক সিএনজি চালকসহ রিকশা-পিকভ্যান, মালবাহী ট্রাকসহ অসংখ্য যানবাহন শ্রমিক। যার ফলে এ রাস্তার সংযোগ স্থল শিবপুর বাজার, নান্দিয়াপাড়া, দেওটি বাজার, কড়িহাটি বাজারসহ আশপাশের অনেক মার্কেটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী মূল্য এখন ওই এলাকার মানুষের কাছে আকাশচুম্মী। ভুক্তভোগী ও এলাকার অনেকেই এ জন্য উপজেলা প্রকৌশলী অফিস তথা প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন। তাদের দাবি অনতিবিলম্বে বিকল্প রাস্তা চালু করে জনদুর্ভোগ, দুর্ঘটনা ও দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ কল্পে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বিকল্প রাস্তা না করে ব্রিজ ভাঙার বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে ব্রিজ মেরামতের ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ না করে, বিকল্প রাস্তার বিষয়ে কথা বলা বেমানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন