কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা সদরের দৌলতগঞ্জ বাজারে ব্যক্তিগত বিরোধ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের এক এএসআইসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত প্রায় নয়টায় দৌলতগঞ্জ বাজারের নোয়াখালী রেলগেইট এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ব্যক্তিগত ঝামেলা নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর লাকসাম পৌর শহরের উত্তর বাজার এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে হুমায়ুন ও ফরহাদের সঙ্গে পৌরসভার গাজিমুড়া গ্রামের আমির হোসেনের কথা কাটাকাটি ও মারামারি শুরু হয়। এ ঘটনার পর রফিকুল ইসলামের ছেলে লাকসাম পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি কাউসারসহ উত্তর বাজারের ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ দলীয় নেতাকর্মীরা নোয়াখালী রেলগেইট এলাকায় আসে। এদিকে গাজিমুড়ার আমির হোসেনের পক্ষ নেয় ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। তখন দুই পক্ষের মাঝে পড়ে লাকসাম থানার এএসআই আবু ইসহাক আহত হন। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে।
এ বিষয়ে লাকসাম উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শিহাব খান বলেন, ‘আমির হোসেন আমার গ্রামের লোক। আমি ঝামেলা থামাতে গেলে হুমায়ুন ও ফরহাদের আঘাতে আমার নাক ফেটে যায়। গাজিমুড়া গ্রামের লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়লে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আমি পুলিশসহ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। এটা কোনও দলীয় বিষয় নয়।’
এদিকে এ বিষয়ে জানতে লাকসাম শহরের উত্তর বাজার এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে হুমায়ুন ও ছাত্রলীগ নেতা কাউসারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
হুমায়ুন ও ছাত্রলীগ নেতা কাউসারের চাচাতো ভাই লাকসাম পৌরসভা যুবলীগের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মো. শাহীন বলেন, রফিকুল ইসলাম, হুমায়ুনসহ অপর আহতরা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আমি ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলাম না।
লাকসাম থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, দুই এলাকার লোকদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে দুই পক্ষের লোকদের সরিয়ে দিয়েছে। এ সময় এএসআই আবু ইসহাক আহত হয়েছেন। আর ঘটনাটি দলীয় কোনও বিষয় নিয়ে ঘটেনি। তবে দুই পক্ষের লোকজন ছাত্রলীগের ছিল বলে স্বীকার করেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন